মাঝে মাঝে মুছকি হাসি দেওয়া মাঝে মধ্যে দুএকবার দেখা হঠাৎ করে দুএকটি কথা বলা আস্তে আস্তে কাছা কাছি আসা ভিশন ভাল বন্ধুত্ব গড়ে তোলা

___প্রথম বার দেখা চোখা চোখি আড় চোখে চাওয়া মাঝে মাঝে মুছকি হাসি দেওয়া। মাঝে মধ্যে দুএকবার দেখা হঠাৎ করে দুএকটি কথা বলা। আস্তে আস্তে কাছা কাছি আসা ভিশন ভাল বন্ধুত্ব গড়ে তোলা সুযোগ বুঝে একরাশ গোলাপ সামনে দিয়ে ছেলেটির ভালবাসার প্রকাশ করা।
এর পর দুইজনের শুরু হয় একসাথে পথ চলা পার্কে,কলেজ মোড়ে, ছিনেমা হলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কখনো বা নিদীর ধারে। একদিন বিকেলে গোধুলীর আলোয় নৌকা ভ্রমণ ভিশন  মায়াবী আলো অনেক ভাল লাগা ছোট ছোট কিছু স্বপ্ন অনেক খুনশুটি এ যেন এক রংধনু এর খেলা। হঠাৎ এক ঝর খরকুটো দিয়ে গড়া আমার স্বপ্নের বাসা দিল গুড়িয়ে। দুজনে  ছিটকে দুদিকে।
______আবার আমি একা চেনা পথ ভিশন অচেনা হাঠতে হাঠতে আমি ক্লান্ত। ছেলেটির বিগ্রে যাওয়া হতাশ আমি ভিশন চেষ্টা আবার নতুন করে সব গড়া। আবার দুজন এক হওয়া এবার যেন আর একটু বেশি মায়া। আবার শুরু নতুন করে স্বপ্ন গড়া চলতে থাকে এভাবেই মায়ার খেলা।
______এবার আবার ছেলেটির বিদায় নেওয়া হাসি মুখেই দিলাম বিদায় কিন্তু যতদুর দেখা যায় তাকিয়ে থাকা একসময় চোখ দিয়ে অস্রু গড়িয়ে পরা। আবার আমি একা পথটা যেন ভিশন আঁকাবাঁকা চলতে ভিশন ভয় শুধু মনে হয় কেউ এসে বলবে হাতটি ধরে ভয় নেই আছি আমি.... একসময় আমার প্রিয় শহর ছারা
______আজ আবার দেখা হয়ে গেল কতশুর কতগান মনে পরে গেল বল ভাল আছত? দুইবছর পর আবার দেখা চেনা মানুষ আচেনা পথ খুব কাছাকাছি তারপরও যেন অনেক দুর। মাঝে মাঝে আড় চোখে দেখা বুকের মাঝে কোথায় যেন ভিশন একটা ব্যাথ....!!!



 জীবনের সত্য কথা।

ভেবোনা,তাই..বলে তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমায় বিরক্ত করব

তোমাকে ছাড়া হয়ত বেচে থাকতে পারব, কিন্তু সুখে থাকতে পারবো না !
ভেবোনা,তাই..বলে
তোমার ইচ্ছার
বিরুদ্ধে তোমায় বিরক্ত করব।
তুমি যদি আমায় ভুলে সুখে থাকো,
তাহলে তাতেই আমার সুখ,
আমি তোমার সুখের জন্য সব
করতে পারবো।
আমি সব সময় তোমার চলার পথ অনুসরন করবো।
জীবনের কোন এক প্রান্তে যদি কখনো হোচট খাও, আমি তোমার হাত ধরে রাখব। ভয় পেওনা,কোন সম্পর্কের দাবি নিয়ে তোমার  সামনে দাড়াব না, শুধু একজন খারাপ মানুষ হিসেবে সারা জীবন তোমার চলার পথের ছায়া হয়ে থাকব। আসলে এতো বেশি ভালবেসে ফেলেছি তোমায়, যার জন্য সব সময় তোমার পাশে ছায়ার মতো থাকতে চাই ...

চুপি চুপি মেয়েটিকে ভালোবাসে । ছেলেটি অপমানের বদলা ও নেয় না,

একটি ছেলে একটি মেয়ে কে খুব  ভালোবাসতো ।
কিন্তু , মেয়েটি তাকে ঘৃণা করতো, তাকে সজ্জ করতে পারতো না ।
এভাবে ছেলেটি যতোবার মেয়েটির সামনে যায়, ততোবার ই অপমান হয় ।
কিন্তু , ছেলেটি অপমানের বদলা ও নেয় না, বরং চুপি চুপি মেয়েটিকে ভালোবাসে ।
মেয়েটির অজান্তে মেয়েটিকে সাহায্য করে । একদিন ছেলেটি জানতে পারে যে মেয়েটি কলেজে আসার সময় এক্সিডেন্ট হয়, এতে তার অনেক রক্ত দরকার হয় । তার জন্য রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ছেলেটি ছুটে গেলো । সে ডাক্তার কে বললোঃ তার থেকে রক্ত নিতে । কিন্তু , ডাক্তার অস্বিকার করলো । কারণ, তার শরীরে যে রক্ত তা যথেষ্ঠ নয়, বরং সে নিজে মারা যাবে রক্ত দিলে । ছেলেটি ধর্য ছাড়লো না । সে ডাক্তার কে সব কথা খুলে বললো, এবং ডাক্তার রাজি হলো । রক্ত দেওয়ার পর ছেলেটির কাছে একটু সময় ছিলো, সে একটা চিঠি লিখে ডাক্তারের হাতে দিলো, এবং মেয়েটিকে দেখার জন্য ছুটে গেলো । আর মেয়েটি তাকে দেখে, আবার অপমান করতে লাগলো । আর ছেলেটি হাসতে হাসতে তার সামনে প্রান ত্যাগ করলো তার দেওয়া সে চিঠি টা ডাক্তার মেয়েটিকে দিলো, তাতে লিখা ছিলো, জীবনে তোমার কাছ থেকে কিছু পাই নি, পেয়েছি শুধু অপমান, তবুও কিছু বলি নি । পাগলের মতো তোমাকে ভালোবেসেছি, তোমার অজান্তে ক্ষতি করি নি, উপকার করেছি । আর উপকারের প্রতিদান সৌরব, পারলে একটু ভালোবাসা দিয়ো । তোমাকে না পাওয়া আমার বের্থতা ছিলো বলে, আজ নিজের রক্ত দিয়ে তোমাকে বাঁচিয়ে দিলাম । আর এ বের্থ জীবন নিয়ে আমি চলে গেলাম । ওহ হে আর আমাকে ঘৃণা করো না । প্লীজ মরে ও শান্তি পাবো না । তোমার না পাওয়া ভালোবাসা ।
 - সুলতান 07/12/2014

তখন আস্তে করে আমাকে বলে দিও

যদি কখনও আমার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তোমার জীবনে।
তখন আস্তে করে আমাকে বলে দিও।
আমি তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাবো।
কিন্তু.........
.....!!

দয়া করে আমাকে এড়িয়ে যেও না।
তাহলে তোমার কাছ থেকে দূরে গেলে যতটা না কষ্ট পাবো।
তার চেয়ে বেশি কষ্ট পাবো তুমি এড়িয়ে চললে...........
......

আমি যদি তোমার ভালোবাসাকে দেখতে চাই, তুমি কি তাকে দেখাতে পারবে??

মেয়েঃ আমরা দুজন খুব ভালো বন্ধু তাই না??
ছেলেঃ অবশ্যই!!
মেয়েঃ ঠিক আছে, তাহলে সত্যি করে বলো তো,
তুমি কি কাউকে ভালোবাসো??
ছেলেঃ হম!! আমি একজনকে ভালোবাসি।। অনেক বেশি ভালোবাসি!!
মেয়েটি একটু মন খারাপ করলো!! কিন্তু বুঝতে না দিয়ে হাসি গলায় বললঃ আচ্ছা, বেশ!! তা, কতটুকু ভালোবাসো তাকে??
ছেলেঃ অনেক অনেক অনেক বেশি!! এবং আজীবনই তাকে এমন করে ভালবাসবো!!
মেয়েঃ আচ্ছা, আমরা দুজন তো অনেক ভালো বন্ধু।। সবসময়ই একসাথে ছিলাম, আছি!! আমি যদি তোমার ভালোবাসাকে দেখতে চাই, তুমি কি তাকে দেখাতে পারবে??
ছেলেটি কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেলো!! কিন্তু পরক্ষনেই বললঃ পারবো!!
মেয়েঃ তাহলে এখুনি ফোন করো!! আমি তার সাথে দেখা করতে চাই!!
ছেলেটি সম্মতি জানিয়ে তার ফোন বের করলো।। নাম্বার চেপে ফোন করলো!!
কিছু সময় পর মেয়েটির মোবাইলে একটি ফোন আসলো!!
মেয়েটি বললঃ একটু অপেক্ষা করো!! আমার একটা ফোন এসেছে!!
মেয়েটি তাড়াহুড়ায় ফোন কানে থেকিয়ে বললঃ হ্যালো!!
ওপাশ থেকে ছেলেটি বললঃ আই লাভ ইউ ইডিয়ট!! misss u.
 
 
-সুলতান আহ্মেদ । ০২/১২/২০১৪ 
তোমার এত অভিমান আমার ওপর? আমাকে বল্লেনা , indirectly বল্লে। directly বলতে পারতে।  

সবাই চাই পচ্ছন্দের মানুষটার সাথে একটু কাছাকাছি মিশতে...

প্রকৃত ভালোবাসা বর্তমান পৃথিবীতে বিলুপ্তির পথে...
আমরা সবাই শুধু মুখেই বলি যে দূরুত্ব ভালোবাসাকে গভীরতা ও পবিত্রতা দান করে...
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,আমরা সবাই চাই পচ্ছন্দের মানুষটার সাথে একটু কাছাকাছি মিশতে...
সবাই চাই তাকে নিয়ে নির্জন কোনো একটা জায়গায় সময়

কাটাতে...

যেখানে ভালোবাসা একটা পবিত্রতা বহন করছে,সেখানে কি আমরা কেউই এই পবিত্রতা রক্ষা করতে পারছি??

আসলে, বর্তমানে আমরা ভালোবাসায় মনের চাহিদার থেকে শরীরের চাহিদার প্রাধান্য দেই..
আর এটাই বর্তমান সমাজের বাস্তবতা...

বি:দ্র: "উপরক্ত আলোচনার সত্যতায় যদি ভালোবাসার মূল্য এটাই হয়ে থাকে তবে এই ভালোবাসা কতোটা গ্রহণযোগ্য??"- প্রশ্ন রইলো তোমার  বিবেকের কাছে...

মনে মনে হাঁসছিলাম, আর ভাবছিলাম তোমাকে নিয়ে । ভাবছিলাম পেছনে ফেলে আসা দিন গুলোর কথা ................

অনেক দিন পর তোমার পাঠানো কিছু এস,এম,এস পড়ছিলাম ।
ভালোই লাগছিলো মনে মনে হাঁসছিলাম, আর ভাবছিলাম তোমাকে নিয়ে । ভাবছিলাম পেছনে ফেলে আসা দিন গুলোর কথা ।
হঠাৎ যেনো একটা ধূসর
স্মৃতি এসে আমাকে আঘাত করলো । চোঁখের কোণায় কখন এসে পানি জমা হয়ে গিয়ে ছিলো একদম বুঝতে পারলাম না ।
হঠাৎ মোবাইলের স্ক্রিনে পানির ফোঁটা দেখে ভাবলাম হয়তো বৃষ্টির পানি বৃষ্টি পরছে আঁকাশ ভেঙ্গে । কিন্তু , না কিছুক্ষন পরই বুঝতে পারলাম এটা আমাকে দেওয়া তোমার কষ্টের পানি ঝরে পরছে আমার এই দু'চোখ দিয়ে,
আমার এই মনের আঙিণা ভেঙ্গে একদিন তুমি বুঝবে আমার ভালোবাসো । সে দিন তুমি আমায় মিস করবে, বুঝবে কতটুকু ভালোবেসে ছিলাম তোমায় ।
সেদিন হয়তো তুমি আর আমার ভাগ্যের মাঝে থাকবে না থাকবে শুধু আমার চোঁখের পানিতে ।


*** আজ এত বার ফোন করলাম তুললে না। একদিন তুমি আমাকে ফোন করবে তখন আমাকে পাবে না, মনে রেখো।  ***

ছেলেরাও চায়,তাদের বিপদে কোন একজন মেয়ে নরম কন্ঠে বলুক চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে

ছেলেদের নিয়ে মেয়েদের কিছু ভ্রান্ত ধারনার জবাব দিতেই এই লেখা:
[ সবাই শেয়ার করে আপনার
বন্ধুকে পড়ার সুযোগ করে দিন..]
ছেলেরা শুধুই মেয়েদের শরীর ভালোবাসে.??
উত্তরঃ- পৃথিবীর বেশির ভাগ মেয়ের  ধারনা,ছেলেরা শুধুমাত্র মেয়েদের শরীর ভালোবাসে..আচ্ছা কিচ্ছুখনের  জন্য মেনে নিলাম ছেলেরা মেয়েদের  শরীর ভালোবাসে..তাহলে মেয়েদের কাছে আমার প্রশ্ন মেয়েরা কি শরীরের স্বাদ উপভোগ করে না..?? অবশ্যই করে..!! যদি নাই করতো তাহলে যে বয়ফ্রেন্ড রুম ডেট করতে পারে না,তাকে কাপুরুষ বলে অন্য ছেলের কাছে চলে যেত না..!!!তাই আপনাদের ধারনাটা ভুল..! মেয়েরা সচারাচর বলে ছেলেরা মেয়েদের মন বোঝে না.. উত্তরঃ- আচ্ছা মন  বুঝতে আপনারা কি বুঝাতে চান..মেয়েদের মন গিরগিটির মত রং পাল্টায়..মাঝে মাঝে তারা নিজেই বোঝে না কি চায় তাদের মন..তাই এটা সঠিক ভাবে বোঝার ক্ষমতা কোন ছেলের নাই..তারপরও একটা ছেলে মেয়েকে অনেক সার্পোট করে..সব সময়
বুঝতে চেষ্টা করে..বিপদে পাশে দারায়..মেয়েদের মুখ ফুটে কিছু বলতে দেরি হয়,কিন্তু শত কষ্টের পরও ছেলেরা ঔ জিনিসটা করতে চেষ্টা করে..এসব কি মন বোঝার মধ্যে পরে না..? ছেলেরা একটা গার্লফ্রেন্ড থাকতে অন্য মেয়েদের সাথে লুতুপুতু করে..
উত্তরঃ- আপু আপনার বয়ফ্রেন্ড আছে..?
এই প্রশ্নটা করলে অনেক আপুই
উত্তরে বলেন
না আমি সিঙ্গেল..কিন্তু খবর নিয়ে দেখুন সেই আপুই তিনজন ছেলের সাথে লুতুপুতু কথা বলে..কিন্তু একটা ছেলে যা সত্য তাই বলে..কারন তাদের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস আর ভরসা থাকে..আসে পাশে চেয়ে দেখুন তদুপরি মেয়েরাই ছেলেদের বেশি ঠকাচ্ছে..!! একটা ছেলে সত্যি কি চায় শুনবেন আপু.. ঠিক আছে নিচে দেখুন
( একান্তই আমার চিন্তা থেকে লেখা )__
1)- একটা ছেলে চায়,কোন মেয়ে তাকে সত্যিকার ভালোবাসুক..যেই ভালোবাসায় থাকবে না কোন সার্থ..থাকবে না কোন তৃতীয় পক্ষ..!!
2)- অজস্র চুমুর থেকেও একটা ছেলে বেশি গুরুত্ব দেয়,মেয়েটা পাশে বসে তাকে খাওয়াক..আদর করে বলুক এইটা নিচ্ছ
না যে..বা আমার রান্না ভালো হয় নি তাই না..
3)- একটা মেয়ের সাথে রাত কাটানোর চাইতে ছেলেটা বেশি পছন্দ করে মেয়েটা বলুক চল না ছাদে দিয়ে তোমার
কাধে মাথা রেখে সারারাত চন্দ্র দেখি..!!
4)- অতি সাহসি ছেলেরাও চায়,তাদের বিপদে কোন একজন মেয়ে নরম কন্ঠে বলুক ' চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে '
একজন মেয়ে যেমন চায় তার জীবনে এমন কেউ আসুক যে তার স্বপ্নের রাজকুমার হবে,তেমনি একটা ছেলেও চায়.তাই
আপুরা ছেলেদের ভুল না বুঝে তাদের সঠিকভাবে বুঝতে শিখুন..কাজে লাগবে..!! তাই আসুন আমরা ছেলে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া,দন্দ,তর্ক না করে একে অপরে বুঝতে চেষ্টা করি..কারন___আমর া একে অপরের পরিপূরক।
[ বি দ্রঃ সব  ছেলে/মেয়ে এক নয়..।
তাই কেউ কারো নিন্দা করবেন না..নিজের মতামত দিতে পারেন ]

একমেয়েকে দুটি ছেলে পছন্দ করতো।এখন মেয়েটিকে দুজন থেকে একজনকে বেছে নিতেই .......

একমেয়েকে দুটি ছেলে পছন্দ করতো।এখন
মেয়েটিকে দুজন
থেকে একজনকে বেছে নিতেই হবে।
মেয়েটি ১ম ছেলেটিকে বলল,তুমি আমার
জন্য কি কি করতে পারবে?
»»আমি তোমাকে বাড়ি-গাড়ি,টাক

া-
পয়সা সব দিব,তোমার নামে নতুন
একটা ফ্ল্যাট কিনে দিব।বিয়ের পর দুজন
সুইজারল্যান্ডে থাকব,প্রথম গিফট ড়ায়মন্ডের
আংটি।আমি ব্যবসা নিয়ে থাকব,আর

তুমি আরামে দিন কাটাবে।
তোমাকে সবচেয়ে সুখী করব।
প্রয়োজনে তোমাকে স্বর্ণের
পালঙ্কে রাখব।
মেয়েটি বলল,ok ok enough!
এবার সে ২য়
ছেলেটিকে বলল,তুমি কি দিতে পারবে?
»»আমি কি আর দিব তোমাকে দিবার কিছু
নেই,আমার কাছে শুধু ভালবাসাটাই
আছে,যা জমা আছে অনেকদিন ধরে।
আমি হতে পারব শীতের দিনে তোমার
চাদর,আর বৃষ্টির দিনে ছাতা।
যখন তুমি কাঁদবে তখন আমিও
না কেঁদে পারব না। যখন তুমি হাসবে,তখন
আমি নিজেকে পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখী মনে করব।প্রয়োজনে জীবন
দিতে রাজি হব। তুমি যদি খুশি হও
আমাকে ছাড়া,সেজন্য
তোমাকে ছাড়তেও পারি।
মেয়েটি ২য় ছেলের কথায় মুগ্ধ
হয়ে তাকেই জীবন সাথী বেছে নিল। আর
১ম ছেলেটিকে বলল,তোমার মুখ
থেকে ভালবাসা শব্দটিই বের হয়নি। ভাল
লাগা ভালবাসা একনয়।

বান্ধবীর বাজেটের কথা শুনিয়া আমার মনের মইদ্ধে যে বেলুন ফুলিয়াছিলো......

— ওই চল আজ তোকে খাওয়াবো!!
বান্ধবীর মুখে এমন কথা শুনিয়া যারপরনাই খুশি হইয়া উঠিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই দন্ডায়মান হইয়া বলিলাম

— চল!!!!!

—আরে এখন নাকি!! বিকেলে খাওয়াবো। তুই যা ইচ্ছে খেতে পারিস। বাজেট বিশ টাকা।

বান্ধবীর বাজেটের কথা শুনিয়া আমার মনের মইদ্ধে যে বেলুন ফুলিয়াছিলো তাহা উনানব্বই দিন ফ্রিজে রাখা শিংনাথ বেগুনের মত চুপসাইয়া গেলো। তবুও
বান্ধবী খাওয়াবে বলে কথা!!

— চটপটি খাবো!!



— এহ!! বললেই হলো নাকি?? একপ্লেট চটপটির দাম বিশ টাকা। তুই সব
খেয়ে ফেললে আমি কি খাবো????

—মানে কি?? তোর বাজেট দুই জন এর জন্যে বিশ টাকা????

বান্ধবীর আকর্ণ হাসি দেখিয়া বুঝিলাম কথা সত্য। দুই জনের জন্যে তিনি বিশ
টাকা বাজেট করিয়াছেন। তবুও কবি বলিয়াছেন খাবারের ব্যাপারে কখনোই
না বোধক উত্তর না করিতে। কোন কবি বলিয়াছেন তাহা জানি না। তাই আমি রাজি হইয়া গেলুম।

— বল কি খাবি???

— গোল্ড.....

এর আগে একবার ঘাড়ানি খেয়েছিলুম। ঘাড়ের উপরে রদ্দার কথা মনে পড়তেই চুপ হইয়া গেলাম!!

— কি?? কি বললি তুই??? গোল্ড লিফ??? তুই গোল্ড লিফ খাবি???

বুঝিলাম আকাশে বজ্রপাত আজকে মাটিতে নাজিল হবে। তাড়াতাড়ি বলিলাম

— না না!! তা খেতে যাবো কেনো?? ছিহ!!
এইটা কি খাওয়ার জিনিস নাকি?? আমিতো ওই পাচ টাকা দামের একটা গোল্ড কয়েন চকলেট পাওয়া যায় যে সেটাই খেতে চেয়েছিলাম!!!

— ওহ তাই বল!! ঠিক আছে। তোকে একটা চকলেট খাওয়াবো।

— একটা কেনো?? আমার দশ টাকায় দুইটা চকলেট!!!

— তোর টাকা মানে?? আমার টাকায় তোকে খাওয়াচ্ছি!! তুই একটা চকলেট খাবি। আর আমি একটা চিপস খাবো; পনেরো টাকা দাম।

কি আর করা!! রাজি হয়ে গেলাম। বাঙ্গালী ফ্রিতে বিশ খেতেও রাজি; আর
আমিতো চকলেট খাচ্ছি।

— শোন; বিকাল চারটায় অবকাশের সামনে চলে আসবি।

— যথা আজ্ঞে! !!!!

বিকেলে ঠিক ঠাক সময় মতো হাজির হলাম।
মানে চারটা পয়ত্রিশ এ।
এসে দেখি বান্ধবী রেগে টং!!

— তোরকি কান্ড জ্ঞান নেই?? পয়ত্রিশ মিনিট লেট???

বহু মুখসাফাই গেয়ে এই যাত্রা রক্ষা পেলাম।

বান্ধবীকে নিয়ে দোকানী মামার কাছে গেলাম। বান্ধবী তার পার্স ঘেটে বিশ
টাকার একটা নোট বের করে দোকানদারকে দিলো।

— মামা ওই চিপসটা দেন। আর একটা গোল্ড কয়েন চকলেট দেন।

দোকানদার এক মুহুর্ত ভাবলো। ভেবে বললো

— আপা আর তিন টাকা!

— কেনো!!! চিপসের দাম পনেরো আর চকলেট পাচ; বিশ টাকাই তো দিয়েছি!!!

— আপা চিপসের দাম বাড়সে!! আঠারো টাকা!!

বান্ধবী আমার দিকে তাকিয়ে একটা অসহায়
হাসি দিলো। এরপর দোকানদারকে বললো
.
.
.
.
. .
— তাইলে মামা এক কাজ করেন;
আমাকে একটা চিপস দেন আর ওকে দুইটা প্রান মিল্ক ক্যান্ডি দেন!!!!!

মাইরালা রে মাইরালা. তোরা কেও আমারে মাইরালা।

টেস্ট পরীক্ষার মাত্র মাস খানেক আগে যখন মিতু খুব শান্ত ভাবে ধ্রুবকে বললো “এত দিন আমি তোমার সাথে অভিনয় করেছি। আমার আর এই রিলেশন টিলেশন একদম ভালো লাগছে না

টেস্ট পরীক্ষার মাত্র মাস খানেক আগে যখন মিতু খুব শান্ত ভাবে ধ্রুবকে বললো “এত দিন আমি তোমার সাথে অভিনয় করেছি। আমার আর এই রিলেশন টিলেশন একদম ভালো লাগছে না আর। প্লিজ আর ফোন দিও না আমাকে” তখন থেকেই ধ্রুবর চোখের সামনে হারাধন-নাগ-আজমল
-তপন সব তালগোল পাকিয়ে গেলো! এমনিতে খুব একটা খারাপ ছাত্র সে নয় কিন্তু গত দুইটা বছর যে মেয়েটা তার সব ভালোলাগাতে জড়িয়ে ছিলো তার হঠাৎ করে এভয়েড করতে শুরু করাটা আর তারপর এই বোম...
লেখা পড়া চাঙ্গে তুলে দিলো।
বিকেলে খেলার মাঠে ধ্রুব নেই। ধ্রুব নেই ভোরের কোচিং গুলোতে কিংবা কলেজের ক্লাস শেষের আড্ডায়। ধ্রুব কোথায়? ধ্রুব রুমে বসে গেইম খেলে পিসিতে। চোখ মুখ শক্ত করে বারান্দায় বসে বসে কাকপাখি দেখে। জীবনেও সিগারেটের ধারে কাছে যায় নি সে, ইচ্ছা করছে নাকমুখ দিয়ে গলগল করে ধোয়া বের করে ঘর বাড়ি ভরে ফেলে। ফেসবুকে মিতু তাকে ব্লক দিয়েছে- এত দিনের ভালোবাসাময় চ্যাট বক্সে নীল নামটা কালো অক্ষরে দেখে তার মনে হয় চিৎকার করে কাঁদে। প্রচন্ড কষ্ট বুকে নিয়ে সে তার সবচেয়ে ক্লোজ ফ্রেন্ড সাদাতকে নক দেয়

“দোস্ত”

“হুম দোস্ত বল”

“এরকম কেন হলো?”

“তোকে তো বলেছি, আমি নিশিকে দিয়ে খবর লাগিয়েছি। সে মিতুর সাথে কথা বলেছে”

“আমার দোষ কি ছিলো?”

“কিছুই বলে নি। বাট আমি মনে হয় বুঝতে পারছি। মিতু ভয় পেয়েছে”

“কিসের ভয়?”

“তুই মাত্র কলেজে পড়িস। তোদের ফ্যামিলির অবস্থাও ভালো না। ফিউচার কি হবে কেউ জানে না। তাই সে আগেই সরে পড়েছে। মে বি বেটার অপশনের খোঁজে”

“বেটার অপশন? মিতু আমাকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিলো”

“সেটা ফার্স্ট ইয়ারের কথা। মোহ ছিলো। মেয়েরা খুব দ্রুত ম্যাচিউরড হয়ে যায় রে। আর সত্যি বলতে তোকে হয়তো ভালও বাসে নি। মোহ কেটে যাবার পর এতদিন সত্যিই হয়তো অভিনয় করে গেছে!”

“কিন্তু আমি তো বাসতাম। আমি এখন কি করবো? পড়াশুনায় একদম মন দিতে পারছি নারে...টেস্টে কি হবে?”

“দোস্ত তোকে একটা মজার কথা বলি?”
“কি?”

“আমার বড় ভাইটা স্কুল কলেজ লাইফে কোন মেয়ের সাথে কথাও বলতো না। ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাবার পর এখন তাকে দেখে মাথা খারাপ। মাঝে মাঝে আমাকে বলে। যাস্ট ফেসবুকে মেয়েরা যা করে উনার জন্য! রিয়াল লাইফে তো বাদ দিলাম। আসলে নিজে কোথাও দাঁড়ালে তখন আর এসবের অভাবে হয় না”

“সত্যি?”

“হুম। আমিও তো সিঙ্গেল। আগে খারাপ লাগতো। এখন কিছু ভাবি না। কোথাও একটা ভর্তি হই। সব টাইম মত হবে”

“তাহলে আমি এখন কি করবো?”

“কষ্ট হবে, বাট চিন্তা কর এখন রেজাল্ট খারাপ হলে আমছালা সব যাবে। তুই ভালো কোথাও টিকে দেখিয়ে দে। মিতুর কানে পৌছানোর দায়িত্ব আমার। মেয়ে তখন এসে যদি তোকে আবার বাবু বাবু না ডাকে তো আমার নাম সাদাতই না!”
ধ্রুবের ভিতরে কিছু একটা নড়ে চড়ে গেলো। প্রচন্ড একটা ক্রোধ। জিদে তার মাথা গরম হয়ে গেলো। হুম, মিতুকে সে দেখিয়ে দিবে। ফিউচার, না? অকে, ফিউচার সে বিল্ড করবে। সাদাত কে অনেক গুলা থ্যাংকু দিয়ে আইডি ডিএক্টিভ করে সে তপন-হারাধনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। ফাইজলামি নাকি? কিসের বুয়েট কুয়েট সব ভেজে তামাতামা করে দিবে ধ্রুব...ধ্রুবকে
চিনে না...
বছর খানেক পর। বুয়েটের রেজাল্ট দিয়েছে। ধ্রুব বসে আছে উদ্ভাসের বেইলীরোড শাখায়। বরাবরই সব মডেলটেস্টে টপ র‍্যাংকের ছাত্র ধ্রুব কিভাবে দশের বাইরে গেলো সবাই অবাক। তের তম হয়েছে সে বুয়েটে। ধ্রুবর চারপাশে কে কি বলছে তার কানে ঢুকছে না। তার সারা শরীর কাঁপছে। কারণ তার হাতের মোবাইলে একটা ম্যাসেজ, সে জানে এটা মিতুর। নাম্বারটা সে চেনে। কিন্তু সে ম্যাসেজটা খুলে দেখবে না। দেখলেও রিপ্লাই দিবে না। ধ্রুবর প্রতিশোধ পর্ব শেষ হয়েছে। বাসায় গিয়ে সে এখন একটা শান্তির ঘুম দিবে, গত এক বছরে জমিয়ে রাখা সব ঘুম।

প্রিয় মানুষটিকে যখন কেউ খুব বেশী বিরক্ত করবে কল কিংবা মেসেজ দিবে বারবার অপমান তাচ্ছিল্য......

প্রিয় মানুষটিকে যখন কেউ খুব বেশী বিরক্ত করবে কল কিংবা মেসেজ দিবে বারবার অপমান তাচ্ছিল্য করার পরও সে এই কাজ করে যাবে একটু ভালবাসার জন্য একটা মেসেজের রিপ্লে পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকবে তোমার একটু অবহেলায় কাঁদবে তোমার সামান্য কষ্টে কিংবা ব্যাথায় কেঁদে উঠে বলবে খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝি।

আর তুমি একটু চোখের আড়াল হলেই নিজেকে রক্তাক্ত করবে যখন বলবে আমাকে আর মেসেজ কিংবা কল দিবা না যদি দাও ব্লক দেব আর সে শত অনুনয় বিনয় করে বলবে আর কোনদিন ভালবাসার কথা বলবো না প্লিজ আমায় ছেড়ে যেওনা।ভেবোনা তার ভালবাসা ফুড়িয়ে গেছে বরং তোমাকে ছাড়া সে থাকতে পারবেনা মুহুর্তের জন্য মরে যাবে সে তাই এই মিথ্যে অভিনয় টুকু করে।

যখন বারবার একটু ভালবাসার জন্য পাগলামো করে একের পর এক কল মেসেজ দিয়ে যাবে রিপ্লে না পেয়েও অনেক বেশী হ্যাংলা কিংবা নির্লজ্জ হয়ত তোমাকে অনেক বেশী ভালবাসে বলে হৃদয়ের গভীর থেকে মিস করে বলেই সে এমন পাগলামো করে।
খোঁজ নিয়ে দেখো হয়ত সে মানুষটি অন্যকাউকে আন্তরিকভাবে মেসেজের রিপ্লেও দেয়না।বারবার চেষ্টা করেও
তার হৃদয়ের কাছাকাছি যেতে পারেনা অনেকে।যে তোমার একটু হাসি দেখতে একটা মেসেজ পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে সে মানুষটি অন্যকাউকে হয়ত একটুও টাইম দেয়না।

কেউ যদি বলে আমি তোমার অযোগ্য তাই ভালবাসনা তাইতো?
তখন ভেবোনা আসলেই সে তোমার অযোগ্য হয়ত নিরব অভিমান আর বুকে চাপা না পাওয়ার কষ্ট থেকেই সে এমনটি বলে।খোঁজ নিয়ে দেখ হয়ত রাশিরাশি যোগ্যতা তার আছে তোমাকে পাওয়ার মত।

একটি কথা মনে রেখো যারা হ্যাংলা ফার্ল্ট করে তাদের দুই একবার ফিরিয়ে দিলেই অন্যকোন শিকার খুঁজে নেবে আর যারা প্রকৃত প্রেমী তাদের হাজারবার অপমান করলেও একটু ভালবাসার জন্য কড়া নাড়বে।
আবেগপ্রবণ মানুষ গুলো খুব বেশী এক্সাইটেড তাই হয়ত পাগলামো বেশী করে কিন্তু এদের হৃদয়ে জমা থাকে এক আকাশ ভালবাসা হারিয়ে গেলে বুঝবে তোমার জীবনে তার কতটা প্রয়োজন ছিল।

আমাকে তোমার মনে পড়বে?হয়ত সেদিন আমি তোমার কাছ থেকেঅনেক অনেক দূরে থাকব....

***যেদিন কেউ তোমাকে কষ্ট
দিবে,সেদিন বুঝবে আমার
ভালবাসাকতটা গভীর
ছিল...কতটা ভালোবেসে ছিলাম
তোমাকে...আমি জানি আমাকে তোমার
মনে পড়বে?হয়ত সেদিন আমি তোমার কাছ
থেকেঅনেক অনেক দূরে থাকব.....সেদিন
তুমিও বুঝবে একাকিত্ব কি ??...যেদিন
কাউকে মিস করবেসে দিন বুঝবে কষ্ট
টা কি ??...তোমাকেও একদিন
কাদতে হবেযেদিন
সত্যি কাউকে ভালবাসবে....সেদ
িন...নিরবে তোমাকেও চোখের
জলফেলতে হবে .............

ছেলেরা অনেক কষ্টের কাজ করতে পারে কিন্তু,, ছেলেরা একটা কষ্ট সহ্য করতে পারে না...

ছেলেরা অনেক কষ্টের কাজ
করতে পারে
কিন্তু,,
ছেলেরা একটা কষ্ট সহ্য
করতে পারে না...
সেটাই হল,,
"ভালবেসে ভালবাসার
মানুষটাকে না পাওয়ার কষ্ট...!!


ভালোবাসা এমনি হয়, কেউ
জিতে কেউ
হারে। আমি না হয় হারলাম, তোমার
সুখের তরে।
হয়তো তোমায় হারিয়ে, কষ্ট
পাবো বেশি।
তবুও দেখতে পাবো, তোমার মুখের
একটু
হাসি..!!


জীবনের ক্লান্ত পথে,
হয়তো হাজারও সুখের ভিড়ে,
তুমি হারিয়ে ফেলতে পারো আমায় ..
কিন্তু হাজারও লক্ষ-কোটি
সুখ আমায় যদি ঘিরেও রাখে,
তবুও ভুলবো না কোনদিন তোমায় ......
 

কেউ ভালোলাগা জানালেই ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে দুই মিনিট ভাবুন- দুই বছর পর আপনি কই থাকবেন? আর যে মেয়েটার জন্য এখন বিনীদ্র রাত কাটাচ্ছেন সে কোথায় থাকবে?

খুব সহজ কিছু কথা বলি। আমি ঠেকে শিখেছি। ইচ্ছা করলে লিখাটা পড়ে শিখতে পারেন। আপনার ইচ্ছা।

একটা সুন্দর মেয়েকে দেখে ক্রাশ খাওয়া যত সহজ তার চেয়ে অনেক কঠিন সেই সুন্দর মেয়েটির সাথে পরিচিত হওয়া কিংবা তার পরিচয় বের করা।
আর পরিচয় বের করাটা যত কঠিন তার চেয়ে বহুগুন কঠিন সেই মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে বা অন্যকোন উপায়ে ভালোলাগার কথা জানানো।
আর প্রপোজ করার পর মেয়ের কাছ থেকে হ্যা শোনাটা অনেক রেয়ার একটা ব্যাপার, তাই প্রপোজ করার চেয়ে বহুগুন কঠিন হলো মেয়েটার মন জয় করে "না" টিকে "হ্যা" বানানো।

আর বিলিভ মি, এই যে "দেখে ক্রাস খাওয়া" থেকে "রিলেশনে" যাওয়াটা যত কঠিন তার চেয়ে বহুগুন কঠিন সেই রিলেশনটাকে "দুই পক্ষের বাবা মায়ের সম্মতিতে বিয়ে পর্যন্ত" নিয়ে যাওয়া।
আর কোর্ট ম্যারেইজ বা কাজী অফিসে পালিয়ে বিয়ে বাবা মায়ের অভিশাপ আর পুলিশের হয়রানিই নিয়ে আসে।
আর মাঝের সময়টুকুতে কত তুচ্ছ কারণেই না এত কষ্ট করে গড়ে তোলা "রিলেশনটা" ভেঙ্গে যায়!

তাই নিজের মনকে না বলতে শিখতে হয়। চোখ তুলে বাস্তবতাটা দেখতে হয়।
ছেলেদের নামের আইডি দিয়ে এক মেয়ে কিছুদিন আগে দীর্ঘ এক ম্যাসেজ পাঠায়। তিন বছরের রিলেশন তার ভেংগে যাচ্ছে কারণ তারা সমবয়সী, ছেলে এখনো ছাত্র, নিঃসম্বল, মেয়ের বাবা ভীষণ কড়া মানুষ, ভালো পাত্র পেয়েছেন হাতে, তিনি মেয়েকে বিয়ে দিবেনই। মেয়ে না পারছে ঐ ছেলেকে ভুলতে না পারছে বাবা মাকে ফেলে ঐ ছেলের কাছে পালিয়ে যেতে, ঐ ছেলে নিজেও চায় না। কঠিন বাস্তবতা হলো, ঐ মেয়েকে নিজের বুকে পাথর চাপা দিয়ে ছেলেটিকে ভুলতে হবে। সম্পর্কের শুরুতে এই দিনের কথা মাথায় আসে নি। এখন চোখের পানিই সলিউশান।

যখন কোন ছেলে বা মেয়ের জন্য বর বা কনে খোঁজা হয় তখন শুধু চেহারা বা ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখা হয় না। বিয়ে মানে দুইটা ফ্যামিলির মধ্যেও বোঝাপরা হয়। আপনার গার্লফ্রেন্ড স্মোক করে, আপনি ভাবেন সেইটা কুল। আপনার বিএফ এথিস্ট, সেইটা আপনার কাছে স্মার্টনেস। অথচ আপনার আব্বা আম্মা এসব শুনলে হার্ট এটাক করে ফেলবে। আর "যাস্ট টাইমপাস" রিলেশন বলে কিছু নাই, এটলিস্ট একজন কষ্ট পাবেই যখন অন্যজন বলবে "সরি, আসলে আমাদের মধ্যে আর হচ্ছে না,উই শুড টেক এ ব্রেক!" কেউ একজন তখন আর ব্রেক নিতে পারে না।

"না" বলতে শিখাটা জরুরি। অন্যকে নয়, নিজেকে। কেউ ভালোলাগা জানালেই ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে দুই মিনিট ভাবুন- দুই বছর পর আপনি কই থাকবেন? আর যে মেয়েটার জন্য এখন বিনীদ্র রাত কাটাচ্ছেন সে কোথায় থাকবে? যে ছেলেটার জন্য চুপি চুপি মিথ্যা বলে বাইরে যাচ্ছেন সে আপনার জন্য কি ফাইট করতে প্রস্তুত? নাকি এসবের জন্য বাবা মায়ের মনে কষ্ট দেয়া লাগবে?

আর যাই হোক, এটা মনে রাখুন, বাবা মায়ের মনে কষ্ট দিয়ে কেউ, কখনো,কোথাও সুখী হতে পারেনি।

আমার খুব ভালো একজন বন্ধুকে সেইদিন জিজ্ঞেস করলাম--"কিরে দোস্ত? সারাদিন কি ভাবিস এতো?"

আমার খুব ভালো একজন বন্ধুকে সেইদিন জিজ্ঞেস করলাম--"কিরে দোস্ত? সারাদিন কি ভাবিস এতো?" জবাবে সে বলেছিল--"আমি কি ভাবি তা জানতে চাস না। শরম পাবি। অশ্লীল জিনিস"

কথা আর বাড়াই নি আর।

নতুন আইডি খুলেছে এমন একজন বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম--"কিরে সারাদিন ফেসবুকে কি করিস এতো?"
সে বলেছিল--"ফ্রেন্
ড লিস্টে যারা আছে তাদের আইডিতে গিয়া Add Friend বাটন খুজি"

তাকেই আরেকদিন রাত ১টার দিকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম--"কিরে তুই এতো হাসতেছিস ক্যান? মন কি খুব ভালো নাকি?"
সে বলেছিল---"হাহাহাহাহাহাহাহা নারে দোস্ত। ভূত এফ.এম শুনি"

বিউটিশিয়ান এক বান্ধবী আছে আমার। তাকে যদি জিজ্ঞেস করি--"কিরে সবসময় এতো সাজুগুজু করিস ক্যান? তোরে কি একটু পরে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে নাকি?"
সে মুখে ধুলাবালু (পাউডার/স্নো) মাখতে মাখতে জবাব দেয়--"কই না তো! আমি তো সবসময় সিম্পল থাকি।"
তখন আমি বলি--"তাইলে এখন তুই কি করতেছিস? কুতকুত খেলিস?"

ক্লাস এইটে থাকতে এক বন্ধুকে বলেছিলাম--"তোর জীবনের লক্ষ্য কি?"
সে বলেছিল--"আমার জীবনের আপাতত লক্ষ্য হইল Aim in life রচনা পুরাটা মুখুস্ত করা"

আসলে বন্ধুদের বিষয় গুলোই আলাদা। তারা কোন কিছুতেই সহজে সিরিয়াস হয় না। মন খারাপ থাকলে মন ভালো করার ওষুধ তারা। অবসরে,ব্যাস্ততায় তারাই সঙ্গি।

তাহসান কে যেমন লুঙ্গি পড়লে মানাবে না তেমনি বন্ধুদের সাথে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলাও মানাবে না। আবার বন্ধুদের মামা না বললেও পেটের ভাত হজম হবে না।

বন্ধু মানেই সুন্দর হতে হবে তা নয়। বন্ধু কালো হয়,বেটে হয়,ঝগরুইট্টা হয়,শান্তশিষ্ট লেজ বিশিষ্ট হয়...

একটু ফ্রেশ চিন্তা করুন। বন্ধু ছাড়া সত্যিই লাইফ ইম্পসিবল।

তোলা থাক না বলা কথা........................................

কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে,
কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে।
প্রতিটি কষ্টকর
অভিজ্ঞতাই আমাদের জন্যে নতুন শিক্ষা ||




_________ কখনো ভাবিনি
তুমি এভাবে আমাকে ছেড়ে যাবে !
যেই তুমিই
কিনা আমাকে ছাড়া থাকতে পরতে না,
যেই তুমি, আমি বলার আগেই আমার
মনের কথা বুঝেছিলে,
সেই তুমি কেন আমার মনের কষ্ট
দেখতে পাও না ?
আমি কিন্তু এখনো তোমার
অপেক্ষায় আছি
যতদিন কষ্ট সহ্য করার মত
ক্ষমতা থাকবে সহ্য করে যাব...
যেদিন আর সহ্য
করতে পারবো না পৃথিবীটা ছেড়ে দিব ।




তোলা থাক না বলা কথা........................................
যেটা কেউ জানে না সেটা কাউকে জানাতে চাই না, আমার মনের কথা মনেই থাক। কারন মানুষের দুঃসময়ের সাথী কেউ হতে চায় না.......................
 

জানি না এমন মানুষগুলো কেনো জীবনে আসে?

কিছু কিছু মানুষের সাথে
হঠাৎ করেই পরিচয় হয়,
খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।
কিন্তু , অবাক লাগে
মানুষ গুলো যতো তাড়া -তাড়ি
জীবনে আসে,
ঠিক ততোটা তাড়া -তাড়ি চলে যায় ।
এরা কোনো কষ্ট দেয় না,
শুধু কিছু স্মৃতি করে রাখার মুহুর্ত দিয়ে যায় ।
জানি না এমন মানুষগুলো কেনো জীবনে আসে?

মানে তোমাকে যদি বিয়ে না করতে পারি তাহলে আমার টাই বেঁধে কে দিবে .....

-মিরা টাই টা একটু বেঁধে দাও তো !
মিরা আমার দিকে এমন ভাবে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে আছে যেন আমি অন্য কোন ভাষায় ওর সাথে কথা বলেছি ! এই মেয়েটা সব সময় এমন বিরক্ত হয়ে কেন তাকিয়ে থাকে কেন কে জানে ? এর বাবা মা ভাই কেউই তো এমন করে কথা বলে না !

আমি আবার মিরার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম
-কানে সমস্যা তোমার ?
-মানে ?
-নাকি বাংলা বুঝো না ? বাংলা ? ইংরেজিতে বলবো নাকি হিন্দিতে ?
মিরা মুখ আরো কঠিন করে বলল
-আপনি আমার সাথে ইয়ার্কি মারছেন ?
-তোমার সাথে আমি ইয়ার্কি কেন মারবো ? তুমি তো আমার শ্যালিকা হও না, তাই না ? তোমার ছোট ভাই অবশ্য আমার শ্যালক ....
-চুপ ! আপনি আর একটা কথা বলবেন না ! কি জন্য এসেছেন বলেন ? আমি ভার্সিটিতে যাবো !
-আরে আমিও তো অফিস যাবো ! এই জন্য তোমার কাছে এসেছি ! দেখো টাই বাঁধতে পারছি না ! একটু কষ্ট করে যদি বেঁধে দিতে !
-দিস ইজ টু মাচ !

-আরে একটু বিপদে পড়েছি । প্রতিবেশী হিসাবে একটু সাহায্য করবে না ?
মিরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই মিরার মাকে পিছনে দেখা গেল ! আন্টির হাতে আটা জাতীয় কিছু লেগে আছে । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কি ব্যাপর মিরা ? ছেলেটার সাথে এমন করে কেন কথা বলছিস ?
মিরা কোন কথা বলল না ! আমি বললাম
-দেখেন একটু হেল্প করতে বলছি করছে না । টাইয়ের নট খুলে গেছে কিছুতে বাঁধতে পারছি না ! টাই বাঁধতে পারি না বলে নটটা খুলিও না কোন দিন কিন্তু এখন কি করি বলেন তো !

মিরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-টাই বাঁধতে পারেন না টাই পরার দরকার কি ?
-এই কথা তো আর বস শুনবে না !
মিরার মা পেছন থেকে বলল
-টাই বাঁধতে পারে না তো কি হয়েছে ? তোর বাবাও তো টাই বাঁধতে পারে না । আমার হাতে আটা লেগে আছে । তুই একটু বেঁধে দে !
-মা !!!
-আরে কি আশ্চর্য ! একটু টাই বেঁধে দিলে কি হবে ?
মিরার মা আমাকে বেশ পছন্দ করে সেই শুরু থেকে । বিশেষ করে মা যখন বড় ভাইয়ের বাসা থেকে মাঝে মাঝে আমার এখানে আসে দেখি দুজনে মিলে কত কথা বলে । যেন হারানো দুই বান্ধবী ! কি কথা বলে কে জানে !
আমি দরজা দিয়ে একটু ভেতরে ঢুকে মিরার সামনে টাইটা এগিয়ে দিলাম । মিরা মুখে বিরক্তি নিয়ে আমার টাই বাঁধতে লাগলো !

আমি বললাম
-তুমি আমার উপকার করছো বদলে আমি তোমাকে ভার্সিটিতে পৌছে দেই !
-জি না, ধন্যবাদ ! আমার উপকার আপনার করার দরকার নেই !
আবারও আমার উপকারে মিরার মা এগিয়ে এল । রান্না ঘর থেকেই বলল
-কেন যাবি না ?
-মা ! আমি যেতে পারবো !
-যাবি তো বাসে করেই ! গাড়িততে করে গেলে কি হবে ?
-মা আমি ভার্সিটির গাড়িতে করে যাবো ! তোমার এতো চিন্তা করতে হবে না !
স্বাধারনত মিয়া কোন দিন আমার সামনে, এটো কাছে আসে নি ! আমার কেন জানি মনে হল মিরা আমার বিয়ে করা বউ ! অফিসে যাওয়ার সময় ও আমার টাই টা বেঁধে দিচ্ছে ! আহা !
জীবন কি চমৎকার !

মিরাদের পাশে ভাড়া এসেছি সেই বছর খানেক হল কিন্তু এই মেয়েটা কে আমি এখনও ঠি মত বুঝতে পারলাম না ! মিরার বাবা মা ছোট ভাইয় রিয়াদের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভাল ! যখন বাসায় থাকি রিয়াদ বেশির ভাগ সময় তো আমার বাসায় থাকে । আমার সাথে তার কত কথা ! আমার কাছ থেমে টিপস নিয়ে মেয়েদের পটিয়ে ফেলে অথচ তার বোনকে আমি আজও পটাতে পারলাম না !

এই মেয়ের সমস্যা কি কে জানে । প্রথে ভেবেছিলাম হয় তো ওর কোন প্রেমিক আছে কিন্তু খোজ নিয়ে জানতে পারলাম এরকম নেই । এমনও না যে ওর কোন ছেলে বন্ধু নেই । অথচ আমার দিকে তার একদম লক্ষ্য নেই !
বদ মেয়ে !

থাপড়ায়া কান গরম করে দেওয়া উচিৎ !
মায়ের কথা মত, নাকি অন্য কোন কারনে, মিরা শেষ পর্যন্ত গাড়িতে উঠে এল । আমার অফিস যাওয়ার পথেই ওর ক্যাম্পাস পড়ে । সুতরাং নামিয়ে দিতে কোন সমস্যা হবে না । আমি তো চাই ও প্রতিদিন আমার সাথেই ক্যাম্পাসে যাক ! কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু হয় !
ওর ক্যাম্পাসের সামনে আসতেই ও নেমে পড়লো !
-আরে কই যাও ?
-কেন ?
-না মানে কিছু বলবা না ?
-কেন বলবো ? আমি আপনার একটা উপকার করেছি, আপনি আমাকে একটা উপরকার করেছেন । ব্যস । কাটাকাটি ! ওকে ? বাই !
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিরা হাটা দিল !
নাহ ! এই মেয়ের আশা মনে হয় ছেড়েই দিতে হবে দেখছি !
বদ মাইয়ার পেছনে আর কত ঘুরবো !
আশা যখন ছেড়ে দিবো দিবো ভাবছি তখনই যেন আশার আলো জ্বলে উঠলো ! ঐ দিন বিকেল বেলা মিরার ফোন এসে হাজির ! আমি তো প্রথেম ঠিক বিশ্বাসই করতে পারি নি !
-আপনি কোথায় ?
-অফিসে !
-কখন আসবেন ?
-তুমি বললেন এখনই আসি ?
-না আসতে হবে না । কাজ শেষ করে আসেন !
-কোথায় আসবো ? ধানমন্ডি ক্যাফে আসেন ! এসে আমার বান্ধবীদের বলবেন যে আমার সাথে আপনার কিছু চলছে না !
-তোমার সাথে আমার কি চলবে ?
-দেখেন ঢং করবেন না ! আপনি আর রিয়াদ মিলে আমার সাথে আজকে যে কাজটা করলেন, ওকে যদি হাতের কাছে পাই না !
-রিয়াদ ! ও আবার কি করলো ?
-শুনেন ঢং করবে না ! আপনাকে যা বলতে বলেছি তাই বলবেন ! একটা কথা বেশিও, না কমও না !

আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিরা ফোন রেখে দিল ! এই মেয়ের সমস্যা কি ? সারাটা সময় এতো রেগে রেগে থাকে কেন ? আর রিয়াদ আর আমি কি এমন করলাম !
রিয়াদ কে ফোন দিলাম ।
-রিয়াদ !
-ভাইয়া বলেন ?
-কোথায় তুমি ?
-আপাতত বাড়ির বাইরে ! কি বলবেন বলেন ?
-তোমার আপু এমন করে রেগে আছে কেন বলতো ? আমি আর তুমি মিলে কি নাকি করেছি ? কি বলছে ?
রিয়াদ কিছুক্ষন হাসলো ! তারপরপ বলল
-আপনি ফেসবুক দেখেন নি ?
-না ! আজকে ঠিক লগিন করা হয় নি !
হাসতে হাসতেই রিয়াদ বলল
-লগিন করে দেখেন, বুঝতে পারবেন ! আর এর জন্য কিন্তু আমার পুরস্কার চাই!
-কি ? বলবা তো ?
-আপনি নিজেরই দেখেন !
আমি ঠিক বুঝলাম না ! সমস্যা কি আজকে সবাই এমন রহস্য করে কেন কথা বলছে ! ফোন রেখে আমি ফেসবুকে লগিন করলাম ! লগিন করতেই আমার চোখ চরখ গাছে । রিয়াদ আমাকে একটা ছবি ট্যাগ করেছে । ছবিতে দেখা যাচ্ছা মিরা আমার টাই বাঁধছে । আজকে সকালে মিরা যখন টাই বাঁধছিল কোন ফাঁকে রিয়াদ নিশ্চই ছবিটা তুলেছে । যে কেউ দেখলে মনে হবে একজ স্বামীর গলায় তার স্ত্রী টাই বেধে দিচ্ছে ! স্ত্রীর মুখ একটু গম্ভীর যেন স্বামীর উপর একটু রাগ করেছে ।
আহা !

নিচে আবার রিয়াদ লিখে দিয়েছে
আমার আপু আর দুলাভাই !
শ্যালোক মশাই ! তুমি একটা কাজের মত কাজ করেছো ! আচ্ছা এইটা দেখেই মনে হয় মিরার বান্ধবীরা কিছু একটা ভেবে নিয়েছে ।
সন্ধ্যার কিছু পরেই ক্যাফেতে হাজির হলাম ! মিরা আগে থেকেই উপস্থিত ছিল ওখানে ! আমি আসতে না আসতেই মিরা বলল
-আপনি এখনই বলুন !
-আরে আগে দম নিতে দাও !
-দম নিতে হবে না ! সত্য কথা বলেন ! বলেন যে আপনার সাথে আমার কিছু নেই !
আমি ওর বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলল
-আমার সাথে মিরা কিছু নেই ! ঠিক আছে !
মিরা বলল
-দেখলি তো আমি মিথ্যা কথা বলছি না ! ঐ ছবিটা রিয়াদ আর উনি মিলে তুলেছে !
আমি প্রতিবাদ করে বলল
-কারেকশান প্লিজ ! আমি এর ভিতর নাই ! মোটেই না !
-আহা ! নাই না ! আপনিই হচ্ছেন মুলে এর ! আমি জানি না বুঝি ?
-তাই ? তুমি খুব জানো ?
-জি আমি জানি !
-তাই না ! ওকে ...
আমি ওর বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বললাম
-দেখো ভেবেছিলাম যে সত্যিটা লুকিয়ে রাখবো, কিন্তু এখন আর ঢেকে লাভ নেই ! আসলে মিরার সাথে গত মাসে আমি বিয়ে করেছি গোপনে ! বাসায় কেউ জানে না ! কাল রাত থেকে ওর সাথে একটু ঝগড়া চলছে । তাই আমাদের রাগ ভাঙ্গানোর জন্য রিয়াদ ছবি টা দিয়েছে !
এক নিঃস্বাসে কথা গুলো বলে আমি মিরার দিকে তাকালাম ! মিরা চোখে এক পাহাড় অবিশ্বাস নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । মনে হচ্ছে ও যেন বিশ্বাস করতেই পারছে না কি হল এতোক্ষন ! কথা হারিয়ে ফেলেছে !
ওর বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে দেখি ওদের সবার মুখ হাসি হাসি ! একজন বলল
-আমি জানতাম ! আজকে যখন দেখলাম আপনি ওকে নামিয়ে দিলেন ক্যাম্পাসে তখনই সন্দেহ হয়েছিল ! এর আগেও দেখেছি আপনি ওকে নামিয়ে দিয়েছেন ! তারপর রিয়াদের সাথেও আপনাকে দেখেছি !
তারপর মিরার দিকে তাকিয়ে বলল
-মিরা তুই আমাদের কাছে না লুকালেই পারতিস ! আমরা তো তো বন্ধুই নাকি ?
আমি বললাম
-আমিও বলেছিলাম !
আমার কথা শুনে মিরা আবার আমার দিকে তাকালো ! চোখে সেই অবিশ্বাস ! আমি হাসি হাসি মুখ নিয়ে মিরার দিকে তাকিয়ে আছি ! আমার খুব মজা লাগছে ! আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই মিরা বলল
-আপনার খুব মজা লাগছে না ?
-হুম !
-চলেন আপনি বাসায় চলেন ! আজকে আপনার আর রিয়াদের খবর আছে !
-আরে কিছু খেয়ে যাই !! তোমার বন্ধবীদের সাথে প্রথম বারের মত দেখা হল !
-চলেন ! খেতে হবে না !
আমাকে প্রায় জোর করেই মিরা বাইরে নিয়ে এল ! মিরা কন্ঠস্বর শুনে মনে হচ্ছে আমাকে পারলে ও কাঁচাই খেয়ে ফেলে । কিন্তু কিছুই করতে পারছে না !
গাড়িটে বসে মিরা যেন বোমা ফাটালো ! চিৎকার করে বলল
-আপনি কাজটা কেন করলেন ?
-তুমি আমাকে মিথ্যা অপবাদ কেন দিলে ?
-আপনি....আপনি..
আপনি..।
আমি হাসতে থাকি মনে ! তবে একটু চিন্তা লাগছিল রিয়াদের জন্য ! আজকে ওর কপালে কি আছে কে জানে !
ভেবেছিলাম ঘটনা মনে হয় এখানেই শেষ হয়ে যাবে । কিন্তু ঘটনা তো কেবল শুরু তখন ! বাসায় গিয়ে পৌছাতে না পোছাতেই মায়ের ফোন.......

মিরা আমার আগে আগে সিড়ি দিয়ে উঠছিল । ওর পা ফেলার আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারছিলাম কি পরিমান রেগে আছে আমার উপর । আমার অবশ্য খুব বেশি কিছু মনে হচ্ছে না । একটু আধটু মজা করাই যায় ।
ওর বন্ধুদের সামনে ওমন ভাবে আমার উপর দোষ না চাপালে হয় তো এমন কিছুই বলতাম না !যাক যা বলেছি ভাল হয়েছে । টিট ফর ট্যাট !
যখন ফ্ল্যাটের কাছে চলে এসেছি তখনই ফোন বেজে উঠলো ! মার ফোন !
এই সময়ে ? মা সাধারন এই সময়ে ফোন দেয় না !
আমি ভেবেছিলাম রেগুলার যেভাবে কথা বলে সেরকম কথা বলার জন্যই মা ফোন দিয়েছে কিন্তু ফোন রিসিভ করেই সেই ভুল ভাঙ্গলো !
মা গম্ভীর কন্ঠে বলল
-কোথায় তুই ?
-এই তো মা । সিড়ি দিয়ে উঠছি ! উঠে পড়েছি !
আমাকে অবাক করে দিয়ে মা বলল
-মিরাদের বাসায় আয় !
-মানে ?
-কোন মানে নেই !
এই বলে মা ফোন রেখে দিল !
আচ্ছা আজকে আমার সাথে হচ্ছে টা কি ? সবাই যে যার মত কথা বলেই ফোন কেটে দিচ্ছে । আমার কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করছে না ! আর মা মিরাদের বাসায় আসতে বলল কেন হঠাৎ ? তার মানে কি মা মিরাদের বাসায় ?
রাত যদিও বেশি হয় নাই তবু মার তো এখন আসার কথা না ! কোন ভাবেই না ।
আমি মিরার পাশে গিয়ে ওদের দরজায় সামনে দাড়ালাম । মিরা ততক্ষনে কলিংবেল টিপেছে । আমি ওর পাশে দাড়িয়েছে দেখে ওর মেজাজ টা আরও এক ধাপ বেড়ে গেল !
-কি ব্যাপার ? আপনি এখানে কেন ?
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই মিরাদের বাসার দরজা খুলে গেল । সামনে মিরার মা দাড়িয়ে । মুখ যথেষ্ঠ গম্ভীর ! সকাল বেলা যেমন টা দেখেছিলাম তেমন টা মোটেও নয় ।
আমাদের দুজনকে দেখেই মিরার মা বলল
-তোমরা ভেতরে এসো !
বাসায় ভেতরে আমার আর মিরা জন্য অন্য কিছু অপেক্ষা করছিল । আমার মা বাবা আর বড় ভাই সাথে মিরার বাবা মা আর কে কে যেন রয়েছে । আমি তাদেরকে ঠিক চিনিও না ! মিরার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখেও কেমন একটা বিশ্ময় কাজ করছে । এতো গুলো মানুষ এখানে কেন এই প্রশ্ন আমার মত ওর মনেও জানতেছে ।
আমাকে দেখে মা বলল
-তুই এমমন একটা কাজ কেমন করে করলি ?
-কি করলাম ?
-কি করলি মানে ? মিরাকে বিয়ে করবি ভাল কথা আমাদের বলবি না ? আমরা কি মানা করতাম নাকি ?
আমি এবার সত্যি সত্যি আকাশ থেকে পড়লাম ! মা এসব কি বলছে । মিরাকে বিয়ে মানে কি ? তাহলে কি ?
মাও ঐ ছবি দেখেছে ?
কিন্তু কিভাবে ?
আমার তখনই মনে পড়লো আমার ভাইও আমার সাথে ফেসবুকে আছে । সাথে আরও বেশ কিছু কাজিন রাও ! ওরাই কি তাহলে ভুল বুঝেছে !
আমি মিরার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে । ও বলল
-আপনারা এসব কি বলছেন ? মামা তোমরা !
দেখলাম একজন আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল
-হয়েছে ! আমরা এটা তোমাদের কাছ থেকে আশা করি নি ! আমাদের জানিয়ে করলে আমরা কি এমন আপত্তি করতাম ? রিয়াদকে বলতে পেরেছিস আমাদের কে বলতে পারিস নাই ?
রিয়াদ !! তাহলে রিয়াদ এর পেছনে ! ও ছবি তুলেছে তারপর সবার কাছে এই কথা বলেছে ?
অন্তত মিরার মা তো জনাতোই যে এই ছবির পেছনে আসল রহস্য । তিনিও যখন গম্ভীর তার মানে রিয়াদ কিছু একটা করেছে !
অবশ্যই কোন ভাবে সবার মনে একটা বিশ্বাস যুগিয়েছে যে আমি মিরাকে বিয়ে করেছি । যেহেতু রিয়াদ প্রায় সময়েই আমার বাসায় যায় ওর সাথে আমার ভাব আছে এই কথা বিশ্বাস করে নিতেই পারে !
ওদের কথা শুনে মিরা এতো অবাক হল যে কোন কথা ঠিক মত বলতেই পারলো না ! বাবা তখন মিরার বাবার দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখুন বিয়াই সাহেব, ছেলে মেয়েরা একটা ভুল করে ফেলেছে ....
বিয়াই সাহেব !!!
আমাদের দুজনের মুখ থেকে একটা কথা একসাথে বের হল ! এসব কি হচ্ছে ?
বাবা তখনও বলে চলেছে
-আমাদের মনে আজকে রাতেই ওদের বিয়েটা হয়ে যাক ! আত্মীয় স্বজনেরা অনেক কথা বলছে ! আজকে যদি পারিবারিক ভাবে আবার বিয়েটা হয় তাহলে একটা দফা রফা হবে !
আরেক বার মানে ? আমি কবার বিয়ে করলাম ? আচ্ছা এদের মাথায় কি সমস্যা দেখা দিয়েছে ! এরা এসব কি বলছে ! একটা মাত্র ছবি দেখে এরা কত কিছু ভেবে বসেছে !

তখঈ আমার মাথায় চিন্তা এল, আচ্ছা আমি এতো চিন্তা করছি কেন ? এই সুযোগে মিরার সাথে যদি আমার বিয়েটা হয়ে যায় তাহলে তো লারে লাপ্পা ! আমি আর কোন কথা না বলে চুপ করে রইলাম ! মিরা বলল
-আপনারা কেন বুঝতে পারছেন না ! একটা ভুল হচ্ছে ! আমি বিয়ে করি নি । বিয়ে করতে চাই না !
মা মিরা কে ধকম দিয়ে বলল
-এই মেয়ে তোমাকে কথা বলতে বলেছে ? দেখছো না আমরা বড়রা এখানে কথা বলছি ! চুপ করে দাড়িয়ে থাকো !
ধমকটা মিরা আশা করে নি ! প্রথম কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না ! আসলে মিরার সাথে আজকে সকাল থেকেই সব অদ্ভুদ ঘটনা ঘটছে মিরা কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না ! মিরা একবার ওর বাবা মার দিকে তাকালো তারপর আমার দিকে তাকালো ! ওর চোখে খানিকটা পানি দেখতে পেলাম মনে হল ! মিরা রুম ছেড়ে বাইরে বের হয়ে এল ! নিজের রুমের দিকে নয় একবারে বাইরে দিকে !

আমিও রুম থেকে বেরিয়ে প্রথমে রিয়াদ কে ফোন দিলাম !
-দুলাভাই ! কেমন কাটছে ?
-তুমি কি করেছো বলতো ? আর কি বলেছো সবাই কে ?
আমার কথা শুনে রিয়াদ আবার হাসলো ! বলল
-বলেছিলাম না আমার একটা পুরস্কার পাওনা আছে । সেইটা রেডি রাখেন । আর যে যা বলে কেবল হ্যা হ্যা বলে যান ! দেখবেন কাজ হয়ে যাবে !
এবারও রিয়াদ আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিল ! আমি মিরার পেছন পেছন ছাদের দিকে ছুটলাম !
মিরা এক কোনে দাড়িয়ে রয়েছে অন্ধকারে ! চাঁদের আলো অবশ্য আছে ।
আমি কাছে যেতেই বলল
-আপনি তো এটাই চেয়েছিলেন তাই না ?
-দেখো আমিও ঠিক বুঝতে পারছি না ! সত্যি বলছি !
-হয়েছে ! আমি আগেই বলেছি ঢং করতে হবে না !
-প্লিজ ! একটু ....
-আপনি আমার সামনে থেকে যান !
-আমি চলে গেলেই কি সমাধান হবে ?
মিরা কোন কথা বলল না ! অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো ! আমি বললাম
-আচ্ছা তুমি চিন্তা কর না ! তুমি যখন চাও না তখন বিয়ে হবে না ! বাবা মাকে বুঝিয়ে বললেই ওনারা বুঝতে পারবে ! তুমি চিন্তা কর না !
মিরা কোন কথা বললা না ! আমি আবার বললাম
-ওনাদের কে বলার আগে কি কিছুক্ষন থাকবো এখানে ? এর পরে হয়তো সুযোগ নাও আসতে পারে ! আসলে নিচে তোমার বাবা মা আর আমার বাবা মা মিলে আমাদের বিয়ের প্লান করছে আর এখানে আমরা দুজন দাড়িয়ে চাঁদের আলো দেখছি এটা ভাবতেই ভাল লাগছে !
মিরা এবারও কোন কথা বলল না ! চুপ করে দাড়িয়ে রইলো !
আরও একটু কাছে গিয়ে বলল
-একটা কথা বলি ?
অনেক টা সময় পর মিরা বলল
-কি ?
-আমাকে টাই বাঁধা শিখাবে ?
-কেন ?
-না মানে তোমাকে যদি বিয়ে না করতে পারি তাহলে আমার টাই বেঁধে কে দিবে ?
মিরা আবারও আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে রইলো । বাইরে অন্ধকার হলেও চাঁদের আলোতে ওর কাঠিন্য বেশ বোঝা যাচ্ছিল !
আমি বললাম
-দেখও এই টুক আমার জন্য তোমার করা উচিৎ নাকি ? মনে কর প্রতিদিন তোমাদের বাসার সামনে গিয়ে টাই বাঁধাটা কেমন লাগবে বলতো ! আর আজকের পরে তোমার মা মনে হয় আমাকে তোমাদের বাসায় ঢুকতেই দিবে না !
মিরা আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হেসে ফেলল হঠাৎ করেই !
-আপনার খুব মজা লাগছে না তাই না ?
-হুম !
-এদিকে ষসেন !
আমি এগিয়ে গেলাম মিরার দিকে মিরা আমার গলা থেকে টাই টা খুলে আবার যত্ন করে বাঁধতে লাগলো ! ও মনযোগ দিয়ে টাই বাঁধছে আর কথা বলছে । কোন টা পরে কোনটা হবে আমাকে শিখাচ্ছে ! আর আমি এই আবছায়া আলোতে ওর চেহারা দেখছি ! মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি ! এতো সুন্দর স্বপ্ন আর দেখেছি কি না কে জানে !
-কি দেখেছেন ?
-হুম !
-পারবেন এখন একা একা !
-নাহ !
-তাহলে কি দেখলেন এতোক্ষন ?
-তোমাকে !
-আপনি কি চান আমার কাছে বলেন তো ? সত্যি করে বলেন ?
-বিয়ের জন্য হ্যা বলে দাও আপাতত ! আমার না ইচ্ছে করছে না বিয়েটা আটকাতে ! প্রতিদিন সকালে তুমি আমার টাই বেঁধে দিবে এই সুযোগটা আমার হাত ছাড়া করতে ইচ্ছে করছে না ! একদম না !
-তাই না ! তাহলে কেবল টাই বাঁধার জন্য আমাকর বিয়ে করতে চান ?
-একবার হ্যা বল তো তারপর দেখবে কিসের জন্য বিয়ে করতে চাইছি !
-এই খবরদার পঁচা কথা বলবেন না !
-পঁচা কথা কোথায় বললাম ?
-এই যে বললেন !
-মোটেই না ! আমি কিছু বলি নি, তুমি চাচ্ছ আমি বলি !
-জি না ! মোটেই না !
কখন যে আমাদের পিছনে কেউ চলে এসেছে আমরা লক্ষই করি নি ! মিরার হাত তখনও আমার টাইতেই আছে !
কাশির শব্দে দুজনেই চুপ করে গেলাম । পেছনে তাকিয়ে দেখি মিরার সেই মামা ! আমাদের দিকে তাকিয়ে মামা বলল
-এর পরেও বিশ্বাস করতে হবে যে তোরা বিয়ে করিস নি । এমন ভাবে কেবল স্বামী স্ত্রীই ঝগড়া করতে পারে !
আমি কোন কিছু না ভেবে বললাম
-ঠিক !
মিরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কি বলছেন একটু আগে ?
-আমার কিছু মনে নেই কি বলেছি !
-দেখেন ভাল হবে না বলছি !
-না হোক । আমি এই সুযোগ হাত ছাড়া করবো না কিছুতেই ! কিছুতেই না !
মামা বলল
-অনেক কথা হয়েছে । এবার নিচে চল ! আজকে রাতেই ঝামেলা শেষ হোক !
-মামা ! একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-শোন মিরা ! তোদের বিয়ে হোক আর নাই হোক, একটা শুনে রাখ এই ছেলের সাথেই তোর বিয়ে হবে । তোর ঐ ছবি আমাদের আত্মীয় স্বজন সবাই দেখেছে । এখন যদি সবাই শোনে এই ছেলে তোর স্বামী না একবার ভেবেছিস কি হবে ? কোন কথা শুনতে চাই না চল এখনই !
সত্যি সত্যি মিরা রসাথে রাতের বেলাটেই বিয়ে হয়ে গেল । মিরা আমার ঘরে ঢুকে বেশ অবাক হল বাসর ঘর সাজানো দেখে ! আমাকে প্রশ্ন করলো
-এই ঘর কে সাজিয়েছে ?
-কেউ হয়তো সাজিয়েছে !
-এতো জলদি ?
-আজকাল সব রেডিমেড পাওয়া যায় ! সুন্দর হয়েছে না ?
-হুম !
তারপর আমার দিকে একটু তাকিয়ে থেকে বলল
-আপনি এই কাজটা ভাল করলেন, মনে রেখেন !
-মানে কি ? বিয়ে হয়ে গেছে এখনও এই কথা বলছো ?
-বিয়ে করার মজা টের পাবেন আপনি হাড়ে হাড়ে ! দাড়ান আপনাকে মজা দেখাচ্ছি ! আর রিয়াদ কে হাতের কাছে পাই একবার !! শালা দুলাভাইকে একসাথে দেখে নেব !!
আমি হাসলাম কেবল ! মিরা তখন একটু শকড থাকলেও এখন মোটামুটি সামলে নিয়েছে । ছাদে চিৎকার চেঁচামিচি করলেই ঘরে এসে মিরা আর বেশি উচ্চ বাচ্চ করে নি । মা মিরার পাশে বসে ছিলেন । তাছাড়া পরিবারের আরও অনেকেই ছিল ! আমার চোখ বারবার রিয়াদ কে খুজছিল !। একবার কেবল দেখলাম এক কোনায় বসে মুচকি মুচকি হাসছে । আজকের এই ঘটনা ও না থাকলে হয় তো হতোই না ! বাসর ঘরটাও ঐ সাজিয়েছে ! শালা বাবু একটা কাজের মত কাজ করেছে !
যাক ! শেষ পর্যন্ত বদ মেয়েটাকে দিয়ে সারা জীবন আমার টাই বাঁধানোর একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা হল !

ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম চোখের আলোতে এসেছ যখন

হঠাৎ এসেছিলে চোখের
আলোতে হারিয়ে ফেলেছি এক
ঝলকে
তবুও তুমি ছিলে চোখের
কোণে আগলে রেখেছি বড় যতনে
,
,
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম
চোখের
আলোতে এসেছ যখন
ছিলে হ্রদয়জুড়ে প্রতিক্ষণে ভালোবাসা তো হয়না মনের
বিপরীতে।।

মেয়েটির চলার পথের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলাম। পরে হাটা ধরলাম... আমার গন্তব্যে..... বেশ কিছু দিন পরের কথা......

~ এই যে শুনছেন...
অবাক হয়ে পেছনে তাকালাম।
অষ্টাদশী এক সুন্দরী রমনী আমাকে উদ্দেশ্য করে সামনে এগিয়ে আসছে। হকচকিয়ে গেলাম একটু...........
ভাইয়া একটু দেখবেন কয়টা বাজে..!!!
চোখ দুটি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় করে বললাম....
~ স্যরি, আমার কাছে ঘড়ি নেই।
~ মোবাইল তো আছে..!!
~ হ্যাঁ তা আছে...
~ দেখুন তো কয়টা বাজে....

পকেট থেকে নোকিয়ার ১১০০ মডেলের ফোন টা বের করে সময় টা বললাম।
মেয়েটি তাচ্ছিল্য চোখে আমার দিকে তাকিয়ে হনহনিয়ে চলে গেল।
মেয়েটির চলার পথের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিলাম। পরে হাটা ধরলাম...
আমার গন্তব্যে.....
বেশ কিছু দিন পরের কথা......
নিউমার্কেটের ফুটওভার ব্রীজের উপর দাড়িয়ে ছিলাম। আশেপাশে মানুষ কিলবিল করছিলো।

ব্রীজের উপর থেকে হাত ঝুলিয়ে নীচে তাকিয়ে ছিলাম।
হঠাৎ, চোখ পড়লো রাস্তার অপরদিকে একটি মেয়ের দিকে। মেয়েটির চেহারা অসম্ভব পরিচিত মনে হচ্ছিলো। অনেকক্ষণ চিন্তা করে মনে পরলো যে এটাই সেই সময় জিজ্ঞাসুকারী মেয়েটি।
ব্রীজের উপর থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মেয়েটির অদ্ভূত পায়াচারী দেখছিলাম।
একটু পর মেয়েটি একটা ছেলে কে ডাক দিলো। ছেলে টিকে ভদ্রঘরেরই মনে হলো। দেখতেও যথেষ্ঠ স্মার্ট ছিলো।
মেয়েটি ছেলেটিকে ডাক দিয়ে বললো......
~ এই যে শুনুন।
~ জ্বী আমাকে..!!!
~ জ্বী আপনাকে.. আমি একটু বিপদে পড়েছি। একটু দেখবেন কয়টা বাজে...!!!!!!

ছেলেটি সুন্দরী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে পকেট থেকে ইয়া বড় এক স্যামসাং মোবাইল বের করে মেয়েটিকে সঠিক টাইম বলে দিলো।
~ মেয়েটি ছোট খাটো একটা হতাশার শব্দ সৃষ্টি করে কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো আমি শেষ।
সুন্দরী মেয়েটির বিপদের অকৃত্রিম সাথী হবার জন্য ছেলেটি জিজ্ঞেস করলো....
~ কি হয়েছে..?? কোন সমস্যা..!!!
~ আসলে হয়েছে কি আমার কোচিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি এখনো পৌছতে পারি নি।

~ কোচিং কোথায় আপনার..?
~ ফার্মগেটে.. আজকে প্রথম ক্লাস। আর আমি ফার্মগেট চিনি না।
~ ছেলেটির চোখে মৃদু মায়া দেখা যাচ্ছিলো মেয়েটির জন্য।
~ আপনি কোথায় যাচ্ছিলেন..? ( মেয়ে)
~ আমিও ফার্মগেটের ওদিকেই যাচ্ছিলাম।
~ আমি কি আপনার সাথে যেতে পারি..!!! আমি ফার্মগেট চিনি না.. ( মায়াবী চোখে)
~ না না.. আপত্তি থাকবে কেন। চলুন একসাথে যাই।
অতঃপর, ছেলেটি মেয়েটির সাথে রিকশায় করে চলে গেলো।
ব্রীজের উপর থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত রিকশাটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

উৎফুল ছেলেটি হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে মেয়েটিকে কিছু বলছিলো।
মেয়েটি চুপচাপ ছেলেটির কথা শুনছিলো।
মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো রিকশা থেকে নামার পর ছেলেটি মেয়েটার ফোন নম্বর চাবে। মেয়েটিও হয়তো দিয়ে দিবে। মুঠোফনের মাধ্যমেই হয়তো তাদের প্রেমের মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
অনেকক্ষন থাকার পর ব্রীজের উপর থেকে নেমে হেটে হেটে বাসায় যাচ্ছিলাম।
পকেটের অবস্থা খুব খারাপ।
রিকশা দিয়ে গেলে বিড়ির টাকায় শর্ট পড়বে। বিড়ি খেলে রিকশাতে যাওয়া যাবে না।

ভেবে চিন্তে রিকশা ছেড়ে বিড়ি ধরিয়ে হেটে হেটে বাসায় যাচ্ছি।
কাঁটাবনের সামনে ছোটখাটো একটা জটলা দেখলাম। ভীড় ঠেলে এগিয়ে যেয়ে দেখি সেই ছেলেটি রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে আছে।
ছেলেটির মুখে পানি ঢালার পর ছেলেটির জ্ঞান ফিরতেই সে চিৎকার করে মেয়েটিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করছিলো।
কিছুক্ষন পর পুলিশ এসে ছেলেটির জবানবন্দি নেয়.........
ছেলেটি বলে যে কোন এক মেয়ের সাথে রিকশায় আসার সময় রিকশা কাঁটাবনের চিপা গলিতে নিয়ে তার চোখে কি যেনো মলম লাগিয়ে দেয়।
জ্ঞান ফেরার পর দেখে সে এখানে। তার পকেট থেকে ইয়া বড় চ্যামচাং মোবাইল ও মানিব্যাগ গায়েব হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ পান চিবিয়ে চিবিয়ে ছেলেটির কথা শুনছিলো।
তারপর ছেলেটিকে নিয়ে পুলিশ চলে গেলো।
ঘটনার সত্যতা আমার চোখের সামনে দেখা। পকেট থেকে নোকিয়া ১১১০ মডেলের ফোন টিকে একবার দেখে মুচকি হাসি দিলাম।
পকেটে নোকিয়া ১১১০ সেট নিয়ে হাটা বিশেষ খারাপ কিছু না।
উপলব্ধি বোধটা সেদিন ভালো মতই মনের ভেতর গেঁথে গিয়েছিলো।

হে ১১১০.....
তুমি মোরে করেছো মহান...
কমিয়েছো সম্মান....
বাঁচিয়ে দিয়েছো প্রাণ....

ভালোবাসা এমনি হয়, ভালবেসে ভালবাসার মানুষটাকে না পাওয়ার কষ্ট...

ছেলেরা অনেক কষ্টের কাজ
করতে পারে
কিন্তু,,
ছেলেরা একটা কষ্ট সহ্য
করতে পারে না...
সেটাই হল,,
"ভালবেসে ভালবাসার
মানুষটাকে না পাওয়ার কষ্ট...!!


ভালোবাসা এমনি হয়, কেউ
জিতে কেউ হারে। 
আমি না হয় হারলাম,
তোমার  সুখের তরে।
হয়তো তোমায় হারিয়ে,
 কষ্ট  পাবো বেশি।
তবুও দেখতে পাবো,
তোমার মুখের  একটু  হাসি..!!

জীবনের ক্লান্ত পথে,
হয়তো হাজারও সুখের ভিড়ে,
তুমি হারিয়ে ফেলতে পারো আমায় ..
কিন্তু হাজারও লক্ষ-কোটি
সুখ আমায় যদি ঘিরেও রাখে,
তবুও ভুলবো না কোনদিন তোমায় ......