খুব সহজ কিছু কথা বলি। আমি ঠেকে শিখেছি। ইচ্ছা করলে লিখাটা পড়ে শিখতে পারেন। আপনার ইচ্ছা।
একটা সুন্দর মেয়েকে দেখে ক্রাশ খাওয়া যত সহজ তার চেয়ে অনেক কঠিন সেই
সুন্দর মেয়েটির সাথে পরিচিত হওয়া কিংবা তার পরিচয় বের করা।
আর পরিচয় বের করাটা যত কঠিন তার চেয়ে বহুগুন কঠিন সেই মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে বা অন্যকোন উপায়ে ভালোলাগার কথা জানানো।
আর প্রপোজ করার পর মেয়ের কাছ থেকে হ্যা শোনাটা অনেক রেয়ার একটা ব্যাপার,
তাই প্রপোজ করার চেয়ে বহুগুন কঠিন হলো মেয়েটার মন জয় করে "না" টিকে
"হ্যা" বানানো।
আর বিলিভ মি, এই যে "দেখে ক্রাস খাওয়া" থেকে
"রিলেশনে" যাওয়াটা যত কঠিন তার চেয়ে বহুগুন কঠিন সেই রিলেশনটাকে "দুই
পক্ষের বাবা মায়ের সম্মতিতে বিয়ে পর্যন্ত" নিয়ে যাওয়া।
আর কোর্ট ম্যারেইজ বা কাজী অফিসে পালিয়ে বিয়ে বাবা মায়ের অভিশাপ আর পুলিশের হয়রানিই নিয়ে আসে।
আর মাঝের সময়টুকুতে কত তুচ্ছ কারণেই না এত কষ্ট করে গড়ে তোলা "রিলেশনটা" ভেঙ্গে যায়!
তাই নিজের মনকে না বলতে শিখতে হয়। চোখ তুলে বাস্তবতাটা দেখতে হয়।
ছেলেদের নামের আইডি দিয়ে এক মেয়ে কিছুদিন আগে দীর্ঘ এক ম্যাসেজ পাঠায়।
তিন বছরের রিলেশন তার ভেংগে যাচ্ছে কারণ তারা সমবয়সী, ছেলে এখনো ছাত্র,
নিঃসম্বল, মেয়ের বাবা ভীষণ কড়া মানুষ, ভালো পাত্র পেয়েছেন হাতে, তিনি
মেয়েকে বিয়ে দিবেনই। মেয়ে না পারছে ঐ ছেলেকে ভুলতে না পারছে বাবা মাকে
ফেলে ঐ ছেলের কাছে পালিয়ে যেতে, ঐ ছেলে নিজেও চায় না। কঠিন বাস্তবতা হলো,
ঐ মেয়েকে নিজের বুকে পাথর চাপা দিয়ে ছেলেটিকে ভুলতে হবে। সম্পর্কের
শুরুতে এই দিনের কথা মাথায় আসে নি। এখন চোখের পানিই সলিউশান।
যখন
কোন ছেলে বা মেয়ের জন্য বর বা কনে খোঁজা হয় তখন শুধু চেহারা বা ফেসবুকের
স্ট্যাটাস দেখা হয় না। বিয়ে মানে দুইটা ফ্যামিলির মধ্যেও বোঝাপরা হয়।
আপনার গার্লফ্রেন্ড স্মোক করে, আপনি ভাবেন সেইটা কুল। আপনার বিএফ এথিস্ট,
সেইটা আপনার কাছে স্মার্টনেস। অথচ আপনার আব্বা আম্মা এসব শুনলে হার্ট এটাক
করে ফেলবে। আর "যাস্ট টাইমপাস" রিলেশন বলে কিছু নাই, এটলিস্ট একজন কষ্ট
পাবেই যখন অন্যজন বলবে "সরি, আসলে আমাদের মধ্যে আর হচ্ছে না,উই শুড টেক এ
ব্রেক!" কেউ একজন তখন আর ব্রেক নিতে পারে না।
"না" বলতে শিখাটা
জরুরি। অন্যকে নয়, নিজেকে। কেউ ভালোলাগা জানালেই ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে দুই
মিনিট ভাবুন- দুই বছর পর আপনি কই থাকবেন? আর যে মেয়েটার জন্য এখন বিনীদ্র
রাত কাটাচ্ছেন সে কোথায় থাকবে? যে ছেলেটার জন্য চুপি চুপি মিথ্যা বলে
বাইরে যাচ্ছেন সে আপনার জন্য কি ফাইট করতে প্রস্তুত? নাকি এসবের জন্য বাবা
মায়ের মনে কষ্ট দেয়া লাগবে?
আর যাই হোক, এটা মনে রাখুন, বাবা মায়ের মনে কষ্ট দিয়ে কেউ, কখনো,কোথাও সুখী হতে পারেনি।