ক্যারিয়ার গড়ুন সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্টে

আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্টে আসতে চান তাহলে পাড়ি দিতে হবে বহুপথ, জানতে হবে অনেক কিছু। টেকনোলজির প্রায় অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। আর কোন জ্ঞান যে কখন কাজে লাগে বা আগামীতে লাগবে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। অধিক ব্যাকগ্রাউন্ড নলেজ কোন কাজ দ্রুত এবং কার্যকর পদ্ধতিতে করতে সহয়তা করবে। 

আমি ডেক্সটপ এবং মোবাইল সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট এ আসতে চাইলে যা যা করতে হবে তার সম্পর্কে লিখব। ডেক্সটপ সফটওয়্যারে গেলে আপনি যে অন্য কোন লাইনে যেতে পারবেন না তা কিন্তু নয়। বরং সকল কিছুতেই পরে কনভার্ট হতে পারবেন। কারন সকল প্রোগ্রামিং এর স্টাইল একই। আর কোন এপ্লিকেশন তৈরির লজিকগুলো একই, লজিক অনুসরন করে আপনি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তা ইম্পলিমেন্ট করবেন। এর জন্য আপনি জাস্ট একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ খুব ভালভাবে শিখবেন, তারপর অন্য প্রোগ্রামিং ল্যংঙ্গুয়েজে এক্সপার্ট হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরবর্তীতে খুব সহজেই মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলাপমেন্টে অথবা ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলাপমেন্টে যেতে পারেন।
প্রোগ্রামিং জগতের প্রথমে আপনাকে যেটা জানতে হবে তা হল সি এবং সি প্লাস প্লাস ল্যাঞ্জুয়েজ। তারপর ডেক্সটপ সফটওয়্যার যদি ডেভেলাপ করতে চান তাহলে এর টুলকিট নিয়ে কাজ করতে পারেন। মোবাইল এপ্লিকেশনের জন্যও আলাদা সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট টুলকিট রয়েছে।


১। সিঃ আপনি যদি শিখতে চান তাহলে অনলাইনে যদি সি এর বাংলা টিউটরিয়াল খুঁজেন তাহলে খুব একটা পাবেন না। যারা সি এর টিউটরিয়াল লেখা শুরু করেছে তারা কেউ শেষ করে যান নি। অর্ধেক লিখে আর কোন খবর নাই। যাই হোক, আমি ওনাদের দোষ দিব না। কারন ধৈর্য শেষ থাকে না। যদি কোন দিন সম্ভব হয় আমি হয়ত বাংলাতে সি এর পূর্ণাজ্ঞ টিউটরিয়াল তৈরি করে দিব। কিন্তু যথারীতি ধৈর্য নাই, এর জন্য করা হয় না।


সি  শেখার জন্য আপনি নিটনের "সবার জন্য সি" বইটা পড়তে পারেন। আমি এটাই পড়েছিলাম।

২। সি প্লাস প্লাসঃ  সি এর ব্যাপারে মোটামুটি ধারনা নেয়ার পর আপনি আসবেন সি প্লাস প্লাসে। সি প্লাস প্লাস অবজেক্ট অরিয়েন্টেড ল্যাঞ্জুয়েজ। অবজেক্ট অরিয়েন্টেড ফিচারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এটা ভাল করে শিখতে হবে। সি প্লাস প্লাসের ক্ষেত্রেও আপনি নিটনের "অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং-সি প্লাস প্লাস" বইটা পড়তে পারেন।


কিভাবে পড়বেনঃ সি যখন পড়া শুরু করবেন দেখবেন যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনার ধৈর্য থাকছে না। আর অনেক কিছুই হয়ত বুঝবেন না। তবুও একটু কষ্ট করে পড়ে যাবেন। পুরো বইটা আস্তে আস্তে পড়তে থাকবেন এবং কোডগুলো কম্পাইল করতে থাকবেন। বেশি বেশি করে কোড কম্পাইল করবেন, কারন আপনি বইয়ের লেখাগুলো রিডিং পড়ে যতটুকু শিখবেন তারচেয়ে বেশি শিখবেন কোড কম্পাইল করে। প্রতিটি কোডের অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন। আর কোন সমস্যা হলেই গুগলে আপনার প্রশ্ন লিখে সার্চ করবেন। অথবা আমাকেও নক করতে পারেন।

সি এবং সি প্লাস প্লাসের প্রতিটি বই কমপক্ষে তিনবার করে মোট ছয়বার পড়বেন এবং কোড বুঝে বুঝে কম্পাইল করবেন। তবুও যদি কোন জায়গায় জায়গায় বোঝার সমস্যা থাকে, ব্যাপার না, রিয়েল টাইম ইম্পলিমেন্ট করতে গেলে পুরো বিষয়টা বুঝে যাবেন।

আমার পড়ার স্টাইল হল পুরো বইটা একবার বুঝি আর না বুঝি পুরোটা রিডি পড়া আর কোন রকম বুঝেই সোর্সকোড কম্পাইল করা। তখন দেখা যেত ১০০% এর মধ্য মাত্র ১৫% বুঝেছি। আবার বইটা পড়লে দেখা যায় যে আগে যেগুলো বুঝি নি পরের বার পড়ে ৪৫% বুঝেছি। আরেকবার পড়লে দেখা যায় ৭০% বোঝা যায়। এটুকুই যথেষ্ট, আর বাকীগুলো দেখা যায় রিয়েল টাইমে কোন এপ্লিকেশন ডেভেলাপ করতে গেলে শিখা হয়।

আবার অনেক দেখেছি পড়ার স্টাইল ভিন্ন। এরা যদি ধরুন ২৫ নাম্বার পেইজে কোন লাইন বুঝে না তাহলে এই ২৫ নাম্বার পেইজ নিয়েই সারাদিন পড়ে থাকে। যতক্ষন না বুঝে ততক্ষন থেমে থাকে। আমার ধারনা এই প্রক্রিয়ার ধৈর্য আর থাকে না। তাই আমি একটানা পড়ে যাই...বুঝলে তো বুঝলাম...না বুঝলে নাই...পরে কোন একটা সময় দেখা যায় বুঝে যাই। যাই হোক আপনি কিভাবে পড়বেন এটা আপনার ব্যাপার।

৩। টুলকিটঃ  আপনি যদি কোন একটি সাধারন এপ্লিকেশন মূল সি বা সি প্লাস প্লাস ল্যাঞ্জুয়েজে লিখতে যান তাহলে হাজার হাজার লাইন লিখে তারপর বানাতে হবে। এর জন্য এপ্লিকেশন ডেভেলাপমেন্টের দ্রুততার জন্য আমরা টুলকিট ব্যবহার করে থাকি। এতে অনেক কিছু আগেই তৈরি করা থাকে। আপনাকে শুধু জাস্ট জানতে হবে কোডের ব্যবহার কিভাবে করতে হবে।

ডেক্সটপ সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্টে আপনি কোন টুলকিট ইউজ করবেন তা নির্ধারন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি জাস্ট উইন্ডোজ এক্সপি বা সেভেনের জন্য এপ্লিকেশন তৈরি করতে চান তাহলে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ইউজ করতে পারেন। এর সাহায্য বানানো এপ্লিকেশন উইন্ডোজ ছাড়া আর কোথাও রান করবে না। এ ক্ষেত্রে আমার পছন্দ কিউট ফ্রেমওয়ার্ক। এটা ক্রসপ্ল্যাটফরম। তার এ দিয়ে আপনি উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাকের জন্য এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবেন। আবার আপনি মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলাপমেন্টে নকিয়ার সিম্বিয়ান, মিয়োমো ডিভাইসের জন্য গেমস, সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও necessitas ইউজ করে এর দ্বারা তৈরি এপ্লিকেশন এনড্রয়েডে চালাতে পারবেন। ১৯৯২ সালে ট্রলটেক কিউট ফ্রেমওয়রর্ক নিয়ে আসে। ২০০৮ সালে নকিয়া একে কিনে নেয়। ২০১২ সালে ডিজিয়া একে কিনে নেয়। ডিজিয়া ঘোষনা দিয়েছে, খুব শ্রীঘ্রয় কিউট দিয়ে এনড্রয়েড, iOS এবং উইন্ডোজ ৮ ফোনের জন্য এপ্লিকেশন তৈরি করা যাবে।


যাই হোক, আপনি একই সাথে ডেক্সটপ এবং মোবাইলের সকল প্ল্যাটফরমের জন্যই এপ্লিকেশন তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছেন।

কিউট ফ্রেমওয়ার্কঃ কিউট ফ্রেমওয়ার্ক এর সকল তথ্য পাবেন - http://qt.nokia.com
এটা শিখতে হলে আপনি নিচের তিনটি বইয়ের যে কোন একটি ভাল করে পড়লেই হবে। বই পড়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ হল সত্যিকার অর্থে শিখতে চাইলে যে বইটা পড়বেন সেটা পুরোটা প্রিন্ট করে ফেলবেন। টাকা যা খরচ হওয়ার হবে। টাকা খরচ না করলে শেখা যায় না।
বইঃ 
১। C++  GUI Programming with Qt 4 (2nd Edition)
২। Foundations of Qt Development
৩। The Book of Qt 4: The Art of Building Qt Applications
আরো অনেক অনেক বই আছে। এই তিনটা বই আসলেই অনেক ভাল। যে কোন একটা ভাল করে পড়লেই হবে। আমি ২ নাম্বার বইটা পড়েছিলাম। বইয়ের ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম না, কারন এই বইগুলো নেটে খুব সহজেই পাওয়া যায়। প্রথমদিকে একটা সমস্যায় পড়েছিলাম, বইয়ে কোডগুলো আছে এগুলো কম্পাইল করলে দেখি কম্পাইল হয় না, আবার অনেক কোড পুরোটা দেয়া নাই। আসলে সকল বইয়ে কোডের গুরুত্বপূর্ণ কোডের অংশগুলো থাকে আর কোডের ব্যাখ্যা থাকে। বইয়ের সাথে example source code নামে আরেকটা ফাইল পাওয়া যায়, গুগলে সার্চ করে ডাউনলোড করে নিবেন। এতে পুরো কোড দেয়া আছে।

ভিডিও টিউটরিয়ালঃ এক্ষেত্রে খুব সমৃদ্ধ ভিডিও টিউটরিয়াল আছে। ইউটিউবের ব্রায়ানের এই চ্যানেলটিদেখতে পারেন। এখানে ১০১ টি ভিডিও টিউটরিয়াল আছে। 

ডকসঃ    ডেভেলাপারদের সুবিধার জন্য কিউটের এই ডকুমেন্টেশনটি অনেক সুন্দর করে সাজানো একটি ডকুমেন্টেশন। দেখতে পারেন এই লিঙ্কে।

সোর্সকোডঃ কিউট টুলকিটে খেয়াল করলে দেখবেন এখানে প্রায় ২০০ এর মত সোর্সকোড দেয়া আছে। এগুলো দেখবেন। বুঝে বুঝে কম্পাইল করবেন। বই সারাদিন ধরে রিডিং পড়ার চেয়েও সোর্সকোড নিয়ে কাজ করলে অনেক বেশি শেখা যায়। দরকার হলে দেখে দেখে কোডগুলো খাতায় লিখবেন। দেখবেন অনেক শেখা হচ্ছে।

কিউট এপসঃ  এখানে আছে কিউটের হাজার হাজার এপ্লিকেশন, সফটওয়্যার, গেমসসহ অনেক কিছু। সবগুলোরই সোর্সকোড সাথে দেয়া আছে। সোর্সকোড ভাল করে দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন কোন কোড কিভাবে ইউজ করে কোন লজিকে এপ্লিকেশনটি বানানো হয়েছে। অনেকসময় আবার কোড কম্পাইল করলে দেখবেন কাজ করছে না। এর মানে এই নয় যে কোডে ভুল। দেখা যায় যে বেশিরভাগ এপ্লিকেশন লিনাক্স প্ল্যাটফরমকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছে। আবার কোন এপ্লিকেশন চলতে হলে সাপোর্টিভ আরো ফাইল দরকার হয়।

কিউট ডেভেলাপার নেটওয়ার্কঃ হাজার হাজার ডেভেলাপারদের সমাবেশ এখানে। তাদের তৈরি বিভিন্ন এপ্লিকেশন যেমন পাবেন তেমনি আপনার কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে এখানে করতে পারেন। 

কিউট ফোরামঃ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে ফোরাম হল সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম। কিউটের শক্তিশালী ২ টি ফোরাম রয়েছে। কিউট ফোরাম এবং কিউট সেন্টার । প্রায় ২০০১ সাল থেকেই লক্ষের অধিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করেছে কিউট ডেভেলাপাররা। সুতরাং আপনি এখান থেকে ভাল কিছুই পাবেন।


কিউট ডাউনলোডঃ  আপনি নেট থেকে কিউট ফ্রেমওয়ার্ক ডাউনলোড করতে পারেন। এর জন্য QT SDK ডাউনলোড করতে পারেন। মাত্র ১ জিবি ! লিঙ্ক নেন – http://qt.nokia.com/downloads/
অথবা,
QT SDK ডাউনলোড করতে না চাইলে কিউট ক্রিয়েটর (৫৮ মেগা) এবং কিউট ডিজাইনার ( ৩২৮মেগা) ডাউনলোড করবেন। আমি এটাই ইউজ করি। তবে সবচেয়ে ভাল হল QT SDK ডাউনলোড করা, এটাতে সব কিছু দেয়া আছে। কোন লোকেশন দেখিয়ে দেয়া লাগে না। এটা প্রায় দেড় জিবি। 

কিউট ফ্রেমওয়ার্ক ইন্সটলঃ আপনি যদি কিউট SDK ডাউনলোড করেন থাকেন তাহলে এই একটি ফাইল ইন্সটল করলেই হয়ে যাবে। আলাদাভাবে কানেক্ট করতে হবে না। এখানে ক্রিয়েটর, ডিজাইনার , এসিস্টেন্ট, কমান্ড লাইনসহ সবকিছু দেয়া আছে। সকল প্ল্যাটফরমের সাপোর্ট এটিতে আছে। তবে এটিতে কম্পাইল হতে বেশি সময় নেয়। তাই আমি নিচেরটি ইউজ করি।
অথবা-
আর আমি যেটা ইউজ করি কিউট ক্রিয়েটর (৫৮ মেগা) এবং কিউট ডিজাইনার ( ৩২৮মেগা)। এই দুটি ডাউনলোড করার পর আপনাকে এই দুটির মধ্যে কানেক্ট করতে হবে। কিউট ক্রিয়েটর Open করুন। এখন Tools-Option- QT4 – ডানদিকে Add – তারপর এই(c:\qt\4.7.4\bin\qmake.exe) লোকেশনে qmake কে দেখিয়ে দিন। আর বেশির ভাগ ইউজার ভুল করে C:\Qt\4.7.4\qmake\qmake.exe লোকেশন দেখিয়ে দেয়। so be careful.

কোড কম্পাইলঃ যদি ব্রায়ানের ভিডিও টিউটরিয়ালে খুব সুন্দরভাবে দেখানো আছে, তবুও একটু ডেমো দেই কিভাবে কোড কম্পাইল করবেন।  কিউট ফ্রেমওয়ার্কে বেশিরভাগ সময় আপনাকে কাজ করতে হবে QT CREATOR/SDK নিয়ে। আর এর কাজ করার স্টাইল হচ্ছে প্রথমে এটি একটি .pro এক্সটেনশনের প্রজেক্ট তৈরি করে। মেইন ফাইল দিতে হয়। সাথে আরো অনুসাঙ্গিক ফাইল ইচ্ছা হলে দেয়া যায়।
যাই হোক hello.pro নামে প্রজেক্ট বানালাম।  এর জন্য প্রথমে QT creator – File – New File or project – Other Project- Empty QT project- hello.pro – Next-Next-Finish ।
এখন সি প্লাস প্লাসের মূল ফাইল তৈরি করব। তাই এখন আবার QT creator – File – New File or project – C++ – C++ Source File – hello.cpp – Next-Next-Finish . এখানে নিচের কোড লিখে রান বাটনে চাপ দিন।
123456789
#include <QApplication>
#include <QLabel>
int main(int argc, char *argv[])
{
QApplication app(argc, argv);
QLabel *label = new QLabel("<h2>Hello Qt!</h2>");
label->show();
return app.exec();
}
view rawhelloQt.cppThis Gist brought to you by GitHub.


ধন্যবাদ সবাইকে। শুভ কামনা রইল সবার জন্য।

গুগল অনুবাদককে ব্যবহার করুন আপনার সাইট অনুবাদ করতে


গুগল ট্রান্সলেটর বা গুগল অনুবাদক সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তবে আপনি ইচ্ছা করলে আপনার সাইটেই গুগল অনুবাদকের সুব্যবস্থা রাখতে পারেন। যার মাধ্যমে অতিথি আপনার সাইটেই একটি লিংকে ক্লিক করে আপনার সাইটে অনূদিত রূপ দেখে নিতে পারেন।
গুগল অনুবাদক সম্বন্ধে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করলাম না। ট্রান্সলেটর বিখ্যাত গুগলের অসাধারণ সব সেবার মধ্যে অন্যতম একটি সেবা যার সম্বন্ধে কমবেশি সবাই জানে। তবুও যারা জানেন না, তাদের জন্য বিষয়টা একটু পরিষ্কার করি। গুগল ট্রান্সলেটর কোন লেখা, প্যারাগ্রাফ বা সমগ্র একটি সাইটকেই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করতে পারে মুহুর্তের মধ্যেই। তবে সব ভাষা এখনো গুগল ট্রান্সলেটর সাপোর্ট করে না। যেমন বাংলা ভাষাকে অনুবাদে ব্যর্থ গুগল। তবে পৃথিবীর অনেক বহুল ব্যবহৃত ভাষাই গুগল সাপোর্ট করে। যেমন ইংরেজী থেকে পর্তুগীজ, জার্মান, রাশিয়ান, আরবি ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবারে আসুন জেনে নিই কীভাবে আপনি আপনার সাইটে অনুবাদক যুক্ত করতে পারেন। অনুবাদ যুক্ত করতে হলে আপনার সাইটের সাইডবারে একটি উইজেট (Widget) প্রয়োজন হবে। উদাহরণস্বরূপ, মনে করুন, আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে অনুবাদক যুক্ত করবেন। আসুন জেনে নিই কী কী করতে হবে।
প্রথমে এই সাইটটি ভিজিট করুন। ভিজিট করে নোটপ্যাডের ফাইলটি ডাউনলোড করুন। এখানে আপনি কোডগুলো পাবেন। কোড অনেক বড় বিধায় টেকটিউনস এ দেয়া গেলনা বলে দুঃখিত। কোডগুলো কপি করে নোটপ্যাড বা ওয়ার্ডপ্যাড এ পেস্ট করুন। এবার আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে বেশ কিছুক্ষণ খাটতে হবে।
লক্ষ্য করে দেখুন, প্রতিটি ছোট ছোট প্যারায় http://translate.google.com/translate?u=http://PutYourURLhere&amp; ইত্যাদি আছে। আপনার কাজ হবে পুট ইয়োর ইউআরএল লেখাটা কেটে আপনি যেই সাইটে অনুবাদক ব্যবহার করতে চান, সেই সাইটের ঠিকানা লিখা। মনে রাখবেন, http://সহ আপনার সাইটের ইউআরএল শুরু হবে u=এর পর এবং সাইটের .com বা এগুলোর পরেই কোন স্ল্যাশ ছাড়াই & থেকে শুরু হবে। এবং এগুলোর মধ্যে একটি স্পেসও পড়তে পারবে না।
খুবই সতর্কতার সাথে কাজটি শেষ হলে আপনার ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড থেকে widget এ ক্লিক করে টেক্সট উইজেট নিন। কোডগুলো পেস্ট করে সেভ করুন। এবার অন্য একটি ব্রাউজার দ্বারা আপনার সাইটটি চেক করুন। দেখবেন, ভাষার উপরে ক্লিক করলে ঐ ভাষায় আপনার সাইট অনূদিত হয় কি না। যদি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার কাজ সফল। আর যদি না হয়, তাহলে মন্তব্যের ঘরে সমস্যা লিখে জানান।
মূল কাজে যাবার আগে আপনি যদি একটু উদাহরণ দেখতে চান, তাহলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ডানদিকের সাইডবারের একদম নীচ থেকে দুই নম্বর উইজেটটি থেকে পছন্দমত ভাষার উপর ক্লিক করুন। এবার নতুন একটি উইন্ডোতে আপনার কাঙ্খিত ভাষায় অনূদিত হয়ে মূল সাইটটি প্রদর্শিত হবে।

সম্পূর্ন ফ্রিতে ওয়েব হোস্টিং


প্রথম শুরুতে সবাইকে সালাম।আমি আজকে এমন একটি সাইটের কথা বলতে যাচ্ছি যা দিয়ে বিনামূল্যে ও সম্পূর্ন ফ্রিতে ওয়েব সাইট,ব্লগ বা ফোরাম তৈরি করতে পারবেন।এই সাইটি সম্পর্কে অনেকে হয়ত জানেন আবার অনেকে জানেন না।যারা জানেন না এই টিউনটি তাদের জন্য লিখলাম।আসা করি নতুন টিউনদের কাজে আসবে।ফ্রিতে ওয়েব হোস্টিংএর সুবিধা গুলো হলোঃ
  • ২৫০ মেগাবাইট জায়গা।
  • ৬ গিগাবাইট মান্থলি ট্রানস্ফার।
  • ৩টি mySql ডাটাবেস।
  • ৫টি এড-অন ডোমেইন।
  • ৫টি সাব ডোমেইন।
  • ভিস্তা পেনেল।
  • পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড ফোল্ডার।
  • অটোমেটিক ইনস্টলার।
  • FTP একাউন্ট।
  • ব্রাউজার ফাইল মেনেজার।
  • ওয়েভ মেইল।
  • POP মেইল একাউন্ট।
  • পার্ক ডোমেইন।
  • Php মাইএডমিন।
  • ক্লাস্‌টার্ড সার্ভার।
যা ফ্রিতে রেজিষ্ট্রেশন করলে পাবেন।যার সাহায্যে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা জুমলা অটোমেটিক ইনস্টল করে তৈরী করতে পারবেন সম্পূর্ন এ্যাড বিহীন আপনার সাইট।তাহলে আর দেরি কিসের। তারাতারি Sign Up করুন। Sign Up করতে Username এর জায়গায় সাইটের নাম হবে, Password এর জায়গায় আট টি পাসওয়ার্ড এবং Email Address এ জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করবেন তারপর Site Category আপনার সাইটি কেমন হবে তা দিয়েদিন, Site Language দিন Security Code দিয়ে register এ ক্লিক করুন।তারপর আসবে13.jpgক্লিক করুন।
এর পর Image Verification নামে
23.jpg
এই রকম বক্স আসবে তারপর Type the two words: নিচে শুদ্ধ ভাবে টাইপ করতে হবে উপরে যা দেয়া থাকে in throughout এই ভাবে টাইপ করুন তার পর register ক্লিক করুন। বেস হয়ে গেল আপনার সাইট, what’s next? নিচে 1) এ ক্লিক করে verify কাজটুকু করে ফেলুন। রেজিষ্ট্রেশনের পর সাইটের নাম http://www.yourname.co.cc হবে। এবার saved এ ক্লিক করে আপনার তথ্য ডাউনলোড করুন বা কপি করুন।করার পর
  • Control Panel
  • Control panel user name
  • Control panel password
  • Control panel URL
  • FTP user name
  • FTP password
  • FTP host name
  • File system path
  • MySQL user
  • MySQL password
  • MySQL host
  • MySQL port
  • Domain name ইত্যাদি পাবেন।
এই তথ্য দিয়ে আপনার পিসিতে সার্ভার অটোমেটিক ইনস্টল এ্যাপলিকেশনের মাধ্যামে ডেভেলপ করুন আপনার সাইট। বিস্তারিত ভিস্তা পেনেলে গিয়ে দেখুন। আর একটি কথা বলা দরকার রেজিষ্ট্রেশ করতে Internet Explorer ব্যবহার করুন তারাতারি হবে।কারন অনেক সময় Mozilla Firefox এ Image Verification হয় না।আজ আপাতত শেষকরছি।
ধন্যবাদ।

কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট হিসেবে নিজের একটি ওয়েবসাইট


কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট হিসেবে নিজের একটি ওয়েবসাইট না থাকলেই যেন নয় । তা ছোট আকারের হোক, অথবা বড় হোক । ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কনটেন্ট ম্যামেজমেন্ট স্ক্রীপ্ট ইউজ করি। এক্ষেত্রে জুমলা সবচেয়ে বেশ ইউজ হয়। এ পোস্টে জুমলাতে মোটামুটি এক্সপার্ট হওয়ার জন্য যা যা করতে হবে বা যে টিউটরিয়ালগুলো কাজে আসবে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

 তবে জুমলা নিয়ে কথা বলার আগে বলি, একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেকগুলো ধারাবাহিক কাজ করতে হয়। বর্ননার সুবিধার্থে
সহজ করে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ।

১। আপনার ওয়েবসাইটের নাম নির্ধারন এবং এই নামটি রেজিস্ট্রেশন । একে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন বলে।
২। আপনার ওয়েবসাইটে গান, মুভি বা তথ্য যাই রাখতে চান না কেন তা একটি হার্ডডিস্কে রাখতে হবে । এই হার্ডডিস্ককে হোস্টিং ধরে নিন। এই হোস্টিং রেজিস্ট্রেশন।
৩। ডোমেইন ও হোস্টিং নেম সার্ভার বা DNS SEVER এর মাধ্যমে কানেক্ট করা ।

এই গেল সাধারন কাজ । এবার আপনি আপনার ভিজিটরকে সাইট কি রকমভাবে দেখাতে চান এটা আপনার ব্যাপার। এক পেজের html এ করতে পারেন, বিভিন্ন টুল বা সফটওয়্যার যেমন microsoft front page, dream weaver আরো সফট এর মাধ্যমে ড্রাগ এবং ড্রপ এর মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারেন। এছাড়া php, javascript,css, ajax, htmt5 প্রোগ্রামিং ল্যাঞ্জুয়েজের এর মাধ্যমে আপনার সাইটকে রাঙ্গিয়ে তুলতে পারেন। তবে আমি মনে করি ওয়েব ডেভেলাপার না হতে চাইলে কোড এর a-z না জেনে,কোড ইউজ জানা সবচেয়ে বেশি গুরুত্মপূর্ণ । মানে কোন কোড কি কাজ করবে তা জানা,আপনি শুধু কপি পেস্ট করে বসিয়ে দিবেন।

আর কোন কোড এর ঝামেলায় না যেতে চাইলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন অপেনসোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্ক্রীপ্ট । nstu osn থেকে আপনাকে দ্রুপাল এবং জুমলার সম্পর্কে ধারনা দেয়া হবে । আমি এখানে কোন টিউটরিয়াল বা ধারনা দিচ্ছি না। আমি জাস্ট লিঙ্ক দিয়ে দিব। যার আগ্রহ আছে সে এই লিঙ্কগুলো থেকে শিখে নিতে পারবে। আর কোন জায়গায় সমস্যা হলে গ্রুপে পোস্ট দিবেন। এক্সপার্টরা তো আছেই......


অবশ্য গুগলে সার্চ দিলে অনেক বেশি শিখতে পারবেন।

১। ওয়েবসাইট এর শুরুর ধাপে করতে হলে আপনি এই লিঙ্ক অনুসরন করতে পারেন।

২ । আর জুমলা সম্পর্কে জানার জন্য এই বইটি ডাউনলোড করতে পারেন। ডাউনলোড লিঙ্ক।
এ ছাড়াও আপনি জুমলার বিভিন্ন টিউটরিয়াল পাবেন এখানে -
a. এখানে
b. এখানে
c. এখানে
d. এখানে


জুমলা ফ্রী, কিন্তু এর মানসম্মত টেমপ্লেট কম্পনেন্ট ,প্লাগইন, মডিউল এর বছরে সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। জুমলা API নিয়ে কাজ করে নতুন ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারবে, এই আশা রইল । তাছাড়া এমন কোন ডায়নামিক সাইট বানাতে পারবে যা মানুষকে শিখাবে + নিজেও শিখবে । 

এই বলে যদি লেখাটা শেষ করি, ব্যাপারটা এরকম দাঁড়াল, নদীর মাঝখানে এনে ছেড়ে দেয়া । যাই হোক, গুরুত্মপূর্ণ কথা হল জুমলাতে API ব্যবহার করে বিভিন্ন সার্ভিস বা কন্টেন্ট বানাতে চাইলে http://api.joomla.org/ তে ভিজিট করবেন।

কাজগুলো করলে আরো অনেক বিষয়ে ধারনা পাওয়া যাবে। যেমন - লোকালহোস্ট



  শুধুইমাত্র জুমলা নিয়েই নয় আরো বিভিন্ন cms নিয়ে কাজ, সার্ভার সাইড ল্যাঞ্জুয়েজ php নিয়ে কাজ করা যাবে ; আবার সার্ভার লেভেলের কাজ যেমন রেড হ্যাট সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরে বিভিন্ন বেসিক কনসেপ্ট বুঝতে হলেও লাগতে পারে। ইন্টারনেট জগতে পুরো পৃকৃতি বা পুরোসিস্টেম কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তা সম্পর্কে জানতে হল এইসব সহজ বিষয় বুঝা জরুরী। সত্যি কথা বলতে কি, অনেক কিছুই অনেক জায়গায় লাগে । কোনটা কোন জায়গায় লেগে যা তা নির্ধারন করে বলা যায় না ।

ওয়েবডিজাইনার বা ডেভেলাপার হওয়ার জন্য নয়, বরং cse স্টুডেন্টের বেসিক কনসেপ্টের মধ্যেই এগুলো পড়ে 

গুগল ক্যালেন্ডার এসএমএস রিমাইন্ডারঃ দারুণ একটি সেবা


রিমাইন্ডার সম্পর্কে নতুন করে পরিচিত করে দেবার কিছু নেই। আপনার কর্মব্যস্ত জীবনে কখন কী করবেন বা জরুরি কোন মিটিং বা অন্য কোন কাজ যেন কোনভাবেই মিস না হয়, এই জন্য অনেকেই রিমাইন্ডার সেবাটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি সাধারণত মোবাইল সেট নির্ভর সেবা। প্রায় সব মোবাইলেই রিমাইন্ডার সেবাটি পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রিমাইন্ডার অপশনটি খুব জটিল প্রক্রিয়ার হয়ে থাকে। যারা অনেক ব্যস্ত থাকেন এবং মোবাইলের এইসব ঝামেলায় সময় ব্যয় করতে চান না, তাদের জন্য অত্যন্ত সহজ একটি সমাধান হতে পারে অনলাইন রিমাইন্ডার। তবে সাধারণত অনলাইন রিমাইন্ডার ইমেইল করে থাকে বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে অ্যালার্ম দিয়ে থাকে। কিন্তু সবসময়ই যে আপনি কম্পিউটারের সামনে থাকবেন, এমন তো কোন কথা নেই। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনই ভরসা। আর মোবাইল ফোন রিমাইন্ডার মানেই আবার সেই ঝক্কি-ঝামেলাময় রিমাইন্ডার অপশন।
আপনার জন্য সহজ ও কার্যকর একটি সমাধান হতে পারে গুগল ক্যালেন্ডারের এসএমএস রিমাইন্ডার সেবা। গুগল ক্যালেন্ডার সম্বন্ধে নতুন করে বলার কিছু নেই। গুগল ক্যালেন্ডারে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো ইভেন্ট যুক্ত করে রাখতে পারেন। এই ইভেন্টগুলোকে শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে, যাতে কেউ আপনার কোন ইভেন্ট যেমন জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ইত্যাদি মিস না করে। এছাড়াও ব্যক্তিগত কাজেও গুগল ক্যালেন্ডারের সেবা প্রশংসনীয়। আপনার নিজের প্রতিটি ইভেন্ট যুক্ত করে রাখলে আপনার ইচ্ছেমতো গুগল ক্যালেন্ডার আপনাকে ইমেইল কিংবা এসএমএস এর মাধ্যমে রিমাইন্ড করবে। পুরো প্রক্রিয়াটা গুগলের অন্যসব সেবার মতই বিনামূল্যের। সুতরাং আপনিও ট্রাই করতে পারেন গুগল ক্যালেন্ডার এসএমএস রিমাইন্ডার সেবা। আসুন জেনে নিই কীভাবে কী করতে হবে।
প্রথমে http://www.google.com/calendar সাইটে গিয়ে আপনার জিমেইল একাউন্টের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন। তারপর আপনি ড্যাশবোর্ড থেকে সহজেই যেকোন ইভেন্ট তৈরি করতে পারবেন। আপনার মোবাইল ফোনকে সেটআপ করার জন্য উপরের ডান দিক থেকে সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন। মোবাইল সেটআপ ট্যাবে ক্লিক করুন।
কান্ট্রি ড্রপডাউন বক্স থেকে আপনি যেদেশে থাকেন, সেই দেশ সিলেক্ট করুন। এরপরের বক্সে কান্ট্রি কোডসহ আপনার মোবাইল নাম্বারটি লিখুন। এরপর send verification code বাটনে ক্লিক করে কোডটি পাবার জন্য অপেক্ষা করুন। এসএমএস এর মাধ্যমে কোডটি আসলে দ্বিতীয় বক্সে সেটা লিখে ফিনিশ সেটাপ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার মোবাইল সেটআপ কমপ্লিট।
এবার আসুন জেনে নিই কীভাবে আপনি মোবাইল এসএমএস রিমাইন্ডারটি অ্যাক্টিভেট করতে পারেন। যখন আপনি কোন ইভেন্ট তৈরি করবেন, তখন নিচের অংশে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অপশনে রিমাইন্ডার নামে একটি ঘর আছে যেটি বাই ডিফল্ট খালি থাকে। Add a reminder লিংকে ক্লিক করলে ড্রপ ডাউন ব্ক্স পাবেন। সেখান থেকে এসএমএস সিলেক্ট করুন। এরপর যথারীতি কতক্ষণ আগে আপনি রিমাইন্ডার এমএসএমটি পেতে চান সেটা সিলেক্ট করুন। সবশেষে সেভ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার তৈরিকৃত ইভেন্টের সঙ্গে একটি এসএমএস রিমাইন্ডার যুক্ত হয়ে যাবে।

মোবাইল a এসএমএস – এর মাধ্যমে ই-মেইল রিসিভ করুন।(জিমেইল)!!


খুব বেশি কিছু করতে হবে না,অল্প কিছু কাজ।

১ম ধাপঃ
=>১মে www.gmail.com এ গিয়ে লগইন করুন।
=>তারপর ডানদিকে উপরের দিকে আপনার জিমেইল প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন।
=>সেখানে Account বাটনে ক্লিক করুন।
=>তারপর সেখান থেকে “Phone and SMS Settings” এ যান।
=>সেখানে “Open SMS Settings” বাটনে ক্লিক করুন।
=>ড্রপ ডাউন মেনু থেকে “Bangladesh” সিলেক্ট করুন “Country” হিসেবে।
=>সেখানে আপনার মোবাইল নম্বর টি দিন।
(তবে নাম্বার দেয়ার সময় নাম্বারের ১মে যে “0″(জিরো) নম্বর থাকে সেইটা বাদ দিবেন)
=> এবার সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন।তাহলে আপনার মোবাইলে একটি কোড আসবে সেটি ভেরিফিকেশন বক্সে দিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করবেন।

২য় ধাপঃ
=>মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন।
=>এবার “Forward my incoming email messages” সিলেক্ট করে সবকিছু ওকে করুন।
ব্যাস এবার মোবাইলেই ইমেইল রিসিভ করুন,এসএমএস এর মাধ্যমে।
এবার আপনার কোন ই-মেইলের রিপ্লাই দেয়ার প্রয়োজন হলে যে ইমেইল টি আসবে সেটি ওপেন করে রিপ্লাই বাটন চেপে আপনার ই-মেইল রিপ্লাই করতে পারবেন।
ধন্যবাদ।
Follow me:: www.facebook.com or Mail me- sultanahamed

কম্পিউটার ড্রাইভের মতন পার্টিশন দিন পেনড্রাইভকেও

আসা করি ভালো আছেন। সালাম সবাইকে। পেনড্রাইভকেও পার্টিশন করা যায়। ইচ্ছে করলে সহজেই কাজটি করা যায়। পেনড্রাইভের পার্টিশন করা অংশ শুধু নিজস্ব কম্পিউটারেই দেখা যায়। পেনড্রাইভ পার্টিশন করলে ভাইরাস দ্বারা আক্রমণের ভয় থাকে না। এতে করে মূল ড্রাইভটি বন্ধু বা পরিবারের সবার সামনে থাকলেও গোপন পার্টিশন করা ড্রাইভটি ব্যবহার করা যায় ইচ্ছে মতো। পেনড্রাইভকে পার্টিশন করতে হলে প্রয়োজন হবে ইউনিভার্সাল ইউএসবি ইনস্টলার নামক ছোট একটি সফটওয়্যার।
এখন www.softpedia.com/get/System/OS-Enhancements/Universal-USB-Installer.shtml ঠিকানা থেকে ১.১ মেগাবাইট আকারের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড শেষে ফাইলটি এক্সট্রাক্ট করে কম্পিউটারে ইনস্টল করতে হবে।
প্রথমে ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ কিংবা পেনড্রাইভটিকে ইউএসবি পোর্ট দ্বারা কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এখন My Computer আইকনের ওপর রাইট বাটন ক্লিক করে Manage-এ যেতে হবে। কম্পিউটার ম্যানেজমেন্ট উইন্ডো ওপেন হবে। সেখানে বামপাশে থাকা Device Manager-এ ক্লিক করতে হবে। এখন কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত সব হার্ডওয়্যার ডিভাইস দেখা যাবে। এবার ডানপাশের উরংশ উৎরাবং এর নিচের দিকে পেনড্রাইভটি দেখা যাবে। পেনড্রাইভটির ওপর রাইট বাটন ক্লিক করে সেখান থেকে Properties-এ যেতে হবে।
এরপর Properties উইন্ডো আসার পর ওপরে থাকা ট্যাবগুলো থেকে Details ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। সেখানে Property উইন্ডো থেকে Device Instance Path অপশন সিলেক্ট করতে হবে। পরে Value উইন্ডোর নিচে থাকা লেখার ওপর রাইট বাটন ক্লিক করে তা Copy করতে হবে। এখন কোনো কিছু সেভ না করেই সব উইন্ডো ক্লোজ করে বের হয়ে আসতে হবে।
এ পর্যায়ে ডাউনলোড করা সফটওয়্যারটির ফোল্ডার ওপেন করতে হবে। এখান থেকে cfadisk.inf নামের ফাইলটি খুঁজে বের করতে হবে। এবার Notepad কিংবা অন্য কোন টেক্সট এডিটর দ্বারা এটি ওপেন করতে হবে।
সবশেষে ওপেন পেজের ২৬তম লাইন থেকে device_instance_id_goes_here লেখাটিকে মার্ক করতে হবে। এবার মার্ক করা লেখার ওপর শুধু কপি করা অংশটুকু প্রতিস্থাপন করে দিলেই হবে। ফাইলটি সেভ করে বের হয়ে এলে পেনড্রাইভটিতে একটি গোপন পার্টিশন তৈরি হয়ে যাবে।

Follow me:  facebook  :  twitter


পশ্চিম বঙ্গ সরকার এর মেলা - একটি প্রতিবেদন !!

পশ্চিমবঙ্গ সরকার আজ মেলা তে যে পরিমাণ টাকা খরচ করছে তার কোনও হিসাব নাই।
কত কি মেলা করছে । কৃষি, শিল্প , মাটি, বই,  ইত্যাদি। আমার মনে হয় একবার "চাকরি মেলা" করলে ভাল হয় যেখানে থাকবে প্রতিটি দপ্তরের ১ টি স্টল। এখানে টাকা ফেলাও চাকরি নাও এইটা হল stateline. তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যেখানে সরকারি চাকরির জন্য টাকা দিলে চাকরি হবে । যারা ইচ্ছুক তারা যোগাযোগ করতে পার আমাদের জেলাতে। প্রাইমারি র জন্য কম করে ৫ লাখ আর সিভিক পুলিশের জন্য ৩০ হাজার । তারপর তো আরও পোস্ট আছে।
আমাদের সরকার টাকা ছাড়া কিছু বছেনা। কোনও মেরিত লিস্ট হয় না , সরকার একবার "চাকরি মেলা " করুন।

একটি প্রতিবেদন।আমরা এবং আমাদের অবস্থান।সময় এসেছে পরিবর্তনের।


শুরু করছি পরম করুনাময় আল্লাহর নামে।সেই সাথে সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা।প্রতিনিয়ত ভালো থাকুন এই প্রার্থনা করছি।আজ লিখতে বসেছি সেই বিষয়ে যার অনুমতি আপনারা আমাকে দিয়েছেন।আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তাতে অনেক ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে।আমি আমার নিজস্ব দৃষ্টিকোন থেকে সবকিছু লেখার চেষ্টা করেছি।ভুল হতে পারে এবং সে ভুল শোধরানোর দায়িত্ব আপনাদের।আমার এই লেখাটির মূল উদ্দ্যেশ্য হলো ইউরোপ তথা ইতালি কেন এত এগিয়ে আর আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনীময়ে যে দেশ স্বাধীন করলাম তা কেন আজ এত পিছিয়ে?শুরু করছি-

সামাজিক নিরাপত্তা

একটা স্বাধীন দেশের জন্য যে জিনিসটা প্রথম প্রয়োজন তা হলো সামাজিক নিরাপত্তা।এই সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকবে জননির্বাচিত সরকার কারন জনসাধারন তাদের নির্বাচিত করেছে শুধুমাত্র আপামর জনসাধারনের সেবা করবার জন্য।এটি নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের কোন অবকাশ নেই।মানুষ চায় জীবনের নিরাপত্তা,সামাজিক নিরাপত্তা,মালের নিরাপত্তা এবং সু স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা।আমার দেশ,আমার মাটি,আমি ঘুরবো বুক ফুলিয়ে।কিন্তু তাকি আমরা পারি?আসুন জানি সামাজিক নিরাপত্তার কয়েকটি ধাপ।

স্বাস্থ্যখাত বা চিকিৎসা (ভারত) -









সামাজিক নিরাপত্তার প্রথম ধাপ হলো স্বাস্থ্যখাত।কারন মানুষ মাত্রই অসুস্থ্য হবে।সেক্ষেত্রে ভারতের মানুষ কতটুকু স্বাস্থ্যসেবা পায় (সরকারি ভাবে)তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

ছোট্ট একটি দেশ কিন্তু ধারন ক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত জনবিস্ফোরন প্রথম আঘাত করেছে স্বাস্থ্যসেবাকে।যেসব সরকারি হাসপাতাল আছে তাতে প্রয়োজনের তুলনায় আসন সংখ্যা সীমিত।দেখা গেলো ১০০ শয্যার একটি হাসপাতালে রুগীর সংখ্যা ৫০০।কারন একটাই জনবিস্ফোরন।এছাড়া রয়েছে ডাক্তারদের গাফিলতি,অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় সরকারি কর্মস্থল বাদ দিয়ে প্রাইভেট চিকিৎসা করা,গরীব মানুষকে মানুষ হিসেবে স্বীকার না করা,সর্বোপরি কঠোর কোন আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় ডাক্তারদের ইচ্ছেমত যা খুশী তাই করা।একটা মানুষ গরীব হতেই পারে।কিন্তু তার পরিবারের কাছে তিনি অমূল্য সম্পদ কারন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি।তিনি বীনা পরিবার অচল।এই মানুষটির যখন ছোটখাটো কোন অসুখ হয় এবং সরকারিভাবে তেমন কোন চিকিৎসা না পেয়ে বিফল মনোরথে বাড়ীতে ফিরে আসেন এবং কিছুদিন পর সেই মানূষটির ছোট অসুখটি বড় কোন কিছুতে রুপান্তরিত হয় তখন ভিটে মাটি বিক্রি করে উচ্চ চিকিৎসার স্বার্থে বড় কোন শহরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।এরপর মানুষটি বাঁচুক/মরুক সেটা বড় কথা নয় কিন্তু বাস্তুহারা এই পরিবারটির দায়ভার বহন করতে হয় দেশকেই কারন বাড়লো একজন হতদরিদ্রের সংখ্যা।

ছবিটি দেখে লজ্জায় চোখ নামানোর কোন অবকাশ আপনার নেই কারন এটা আমাদের দেশেরই বাস্তব চিত্র।গ্রাম অঞ্চলে এভাবেই একজন মুমূর্ষ রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।হাসি পায় শুনলে আমরা নাকি আধুনীক হয়েছি।কিসে আধুনীক হয়েছেন আপনি?কাপড়ে?কম্পিউটারে?আগে লাভ লেটার লিখতেন এখন মেইল করেন এটাতে?মানুষের মৃত্যুর খবর আর টেলিগ্রাম করে দিতে হয় না,মোবাইলেই দেয়া যায় এটাতে?আহ আধুনীকতা।আসুন আমরা শপথ নেই আরো আধুনীক হবো।
প্রেক্ষাপট বড়লোক মানে পয়সাওয়ালা।এরা দেশের সম্পদ।আঙ্গুলে ব্যথা হলেও যারা দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা সেবা নেয় তবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে।এখানে পয়সার খেলা।আপনার A থেকে Z পর্যন্ত চিকিৎসা হবে তবে তা অবশ্যই পয়সার বিনিময়ে।স্বাস্থ্য সেবা শুধু তাদের জন্য কারন তারা দেশের ভি,আই,পি নাগরীক।দেশের সব সুবিধা শুধু তাদের জন্য।একজন হতদরিদ্র মরলে একটি পরিবার যে দারিদ্রসীমার অনেক নীচে চলে যায় এটা না হয় তাও সহ্য করা যায় কিন্তু একজন পয়সাওয়ালা মরলে দেশ ও জাতীর যে অপূরনীয় ক্ষতি হয় তা সামাল দেয়া জাতির পক্ষে সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্যখাত বা চিকিৎসা (ইতালি)-

প্রতিটি মানুষের জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছে যা নির্বাচন করবেন আপনি।অর্থাৎ অমুক ডাক্তারকে আমার ভালো লাগে আপনার এই কথার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কত্রিপক্ষ আপনার জন্য সেই ডাক্তারকে নির্বাচন করে একটা কার্ড দিবে। আপনার যে কোন অসুবিধায় চলে যাবেন সেই ডাক্তারের কাছে কোন সমস্যা নেই।ডাক্তার আপনার সমস্যা শুনে প্রেসক্রিপশন দিবে যার বেশীর ভাগ অসুধই আপনাকে দেয়া হবে বিনামূল্যে।আর ডাক্তার দেখানো বাবদ আপনাকে কোন পয়সা দিতে হবে না ডাক্তারকে কারন আপনি যে কাজই করুন না কেন সরকারকে যে ট্যাক্স দেন ডাক্তার সেই ট্যাক্স থেকে তার পয়সা নিয়ে নিবে।আপনি জানতেও পারবেন না।অর্থাৎ আপনি আপনার কাজ থেকে যে ট্যাক্স সরকারকে পরিশোধ করেন তার কল্যানে চিকিৎসা ফ্রী।হয়তো দেখা গেলো আপনার ডাক্তার একজন হ্নদরোগ বিশেষজ্ঞ কিন্তু আপনার সমস্যা হলো চোখে।তখন আপনার ডাক্তার একটি কাগজের মাধ্যমে আপনাকে হস্তান্তর করবে হাস্পাতালের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।সেখানে সরকারী কিছু ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে আপনি পাবেন উন্নত সেবা।ট্যাক্স সাধারনত বাংলাদেশী টাকায় তিন হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয় ।কিন্তু এর পরে যদি আপনার চোখ অপারেশন করতে হয় এবং বাংলাদেশী টাকায় ৫ লক্ষ টাকাও লাগে তাহলেও কিন্তু তা ফ্রী।অর্থাৎ আপনাকে আর কোন টাকা গুনতে হবে না।

উপরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একজন ডাক্তার কতটা দরদের সঙ্গে রোগীর খোঁজ খবর নিচ্ছেন।এবার আসছি চিকিৎসা সেবার অন্য কিছু অংশে।ধরুন আপনি আপনার বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ্য অনুভব করলেন।হয়তো দেখা গেলো আপনার বুকে ব্যথা অনুভব করছেন।ফোন করুন ১১৮ নাম্বারে।ব্যাস ৫ মিনিটের মধ্যে এসে হাজির হয়ে যাবে এ্যাম্বুলেন্স।

এখানে কোন পয়সার কারবার নেই।আপনি ইতালির যে কোন প্রান্তে,যত অজপাড়াগাঁয়েই থাকুন না কেন চিকিৎসা আপনার জন্য সমান।মানে রাজধানীতে বসে একজন নাগরিক যে সুবিধা ভোগ করবে ঐ গ্রামের মানুষটিও সেই একই সুবিধা ভোগ করবে।

তাহলে কথা এই দাড়ালো যে বীনা চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ০% ।

সড়ক,যাতায়াত ও পরিবহন নিরাপত্তা (ভারত)-

চলমান এক আতঙ্কের নাম সড়ক।নির্বিচারে মানুষ হত্যা হয় যেখানে।৭১ এর পরে নির্দয়ভাবে এরকম গণহত্যা একমাত্র সড়ক দূর্ঘটনা দিয়েই সম্ভব হয়েছে।অথচ সবাই নির্বিকার।নেই কোন আইন,নেই কোন বিচার,নেই কোন পদক্ষেপ,নেই কোন চিন্তা।প্রতিদিন দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে।পরিবহন দিয়ে যদি এভাবে গণহত্যা চালিয়ে দেশের জনসংখ্যা কমানো যায় তবে এটাতো দেশ ও জাতির জন্য সুখবর।কি বর্বর আমরা।কি ভাবে সম্ভব যেখানে প্রতিদিন এভাবে গণহত্যা হচ্ছে সেখানে দেশের ১০০% লোক নির্বিকার?এখনো কি সময় আসেনি পরিবর্তনের?

ছবিটি দেখে নিজেই বলুন চালক কতটা বেপরোয়া ছিলো যে বাসের ডান পার্শ্বের পুরোটাই গায়েব হয়ে গেছে। এই বাসের যাত্রী আপনিও হতে পারতেন কিংবা আপনার কোন আপনজন।
সময় এসেছে ঘোড়ার লাগাম টানার।স্বাধীনতার পর প্রায় ৬০ বছর পার হয়ে গেছে।সামরীক থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক সরকারও এসেছে একাধীকবার।পরীবর্তন হয়েছে কিছু?গত ৫০ বছরে যারা এসেছে তারা সামান্য সড়কেরই নিরাপত্তা দিতে পারেনি,পুরো দেশের নিরাপত্তা দেবে কি করে?
নিমতউরিতে দেখলাম রাস্তার ধারে এক লোক পরে আছে যার মাথা থেকে গরু জবাই করলে যেমন রক্ত বের হয় তেমন রক্ত বের হচ্ছে।পাশে দাঁড়িয়ে আছে ২/৩ জন লোক।তারা দর্শক।প্রশ্ন হলো আপনার সামনে যদি এমন ঘটনা ঘটে আপনি কি করবেন? আপনি কি এ্যাম্বুলেন্সে কল করবেন?জানি করবেন না কারন আপনিও ত দর্শক হতে পছন্দ করবেন।আর আপনি কল করলেও যে এ্যাম্বুলেস এসে হাজির হবে তার নিশ্চয়তা কে দেবে?কারন এ্যাম্বুলেন্স যে আসবে সে প্রথম নিশ্চয়তা চায় তার তেল খরচের টাকা জনগনের মধ্য থেকে কে দেবে?
আসুন সড়ককে নিরাপদ হিসেবে ঘোষনা করি।কাজ কিন্তু আপনারও আছে।যখন দেখলেন আপনার বাসের ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে আপনি কিন্তু মনে মনে পুলক অনূভব করেন যে ব্যাটা ড্রাইভার একখান।কখনো কি বলেছেন ড্রাইভার সাহেব আপনি যা করছেন তা ঠিক নয়?বলেননি কারন লোক লজ্জা।আরে বলেই দেখুন না,বাসের ১০০% যাত্রির সমর্থন আপনি পাবেন।হিরো হতে ইচ্ছে করে না আপনার?বাসের সুন্দরী মেয়েটি তো তাহলে আপনাকেই দেখবে বাঁকা চোখে।মেয়েরা তো সত্যিকারের হিরোকেই পছন্দ করে,অনলাইনের হিরোকে নয়।আসুন কারন অনুসন্ধান করি কেন এই ভয়াবহতা।
প্রথম কারন হিসেবে দেখবো চালকের অদক্ষতাকে।কোন যোগ্যতার দোহাই দিয়ে একজন অদক্ষ চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স পায় তা কারোরই জানা নেই।একজন দক্ষ ড্রাইভারের অধীনে ৪/৫ বছর গাড়ির হেল্পার হিসেবে কাজ করলে নাকি সেও দক্ষ চালক হয়ে যায়।সেও দাবীদার হয় গাড়ি চালাবার।আসলেই কি এটা হওয়া উচিৎ?মন্ত্রনালয় কোন পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়া কোন অযুহাতে এধরনের অদক্ষ হেল্পারকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় তা বোধহয় কারোরই বোধগম্য নয়।যার পরিনাম অহরহ দূর্ঘটনা।

উপরের ছবিটি দেখুন,সামান্য কয়টা পয়সা বাচাতে গিয়ে নিজেই বিসর্জন দিচ্ছেন নিজের জীবনকে।নিজে সচেতন হোন,অন্যকে সচেতন করুন।
দ্বিতীয় কারন হিসেবে দেখবো রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ী চালালেও কোন জবাবদিহিতা না থাকা।না আছে কোন পুলিশ কন্ট্রোল,না আছে কোন বাঁধা।চালক নিজে মাদক জাতীয় কিছু সেবন করেছেন কি না তার নিশ্চয়তা কে দিবে?জানার আছে কোন ব্যবস্থা?না নেই।বাস কিংবা ট্রাক যারা চালায় তারা তো রিক্সা,সিএনজি কিংবা মটরসাইকেল চালককে মানূষ হিসেবেই গন্য করতে চায় না মহাসড়কগুলোতে।
তৃত্বীয় কারন হিসেবে দেখবো আত্মসন্মানবোধকে।অমুক কোম্পানীর গাড়ি আমার কোম্পানীর গাড়িকে ওভারটেক করে গেলো এটা কি হতে পারে?নাহ কক্ষনো না।শুরু হয় প্রতিযোগীতা।এ প্রতিযোগিতায় আত্মতৃপ্তি পায় যাত্রীরা নিজেও।পরিনাম যা হবার তাই হয়।হয় সেই গাড়ির নীচে পরে জীবন হারায় সাধারন মানূষ আর না হয় গাড়িটিই সড়ক থেকে ছিঁটকে পড়ে হয়ে যায় একরত্তি লোহার টুকরো।ভিতরের মানুষগুলোর অবস্থা নাই বা বললাম।

সড়ক,যাতায়াত ও পরিবহন নিরাপত্তা (ইতালি)-

আপনি যদি দূরের যাত্রী হন তবে নাক ডেকে একটা ঘুম দিতে পারেন কারন বাস জীবনেও এখানে এক্সিডেন্ট করে না।কারনটা হলো বাসের ড্রাইভার গতিবেগ মেনে চলে,সিগন্যাল মেনে চলে,রাস্তায় যা যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা মেনে চলে,নেশা করে না,প্রতিযোগীতা নেই বরং এক ড্রাইভার পাশে অন্য ড্রাইভারকে পেলে কুশল বিনিময় করে আর সর্বোপরি এদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার সময় স্পেশাল কিছু ট্রেনিং এর মাধ্যমে লাইসেন্স দেয়া হয়।যা ও ২/১ টি এক্সিডেন্ট হয় তা প্রাইভেটকারের মধ্যে।এই ২/১ টি এক্সিডেন্টও যেন না হয় তার জন্য সরকার নিয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।আমি যখন ২০০৫ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাই তখনও বেশ সহজ ছিলো।কিন্তু কিছু এক্সিডেন্টের কারনে সরকার এখন এত বেশী কড়াকড়ি আরোপ করেছে যে আমার মত বিদেশী তো দূরের কথা,স্বয়ং ইতালিয়ানরদের এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।এখন পরিস্থিতি এমন যে আপনি যদি ১০০% যোগ্যতা অর্জন করতে না পারেন তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার জন্য স্বপ্নই থেকে যাবে।৩/৪ বছর আগেও ইতালিতে মদ খেয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব ছিলো কিন্তু এখন তা পুরোপুরি নিষেধ।পুলিশ আপনাকে ধরলে প্রথমে আপনাকে স্যালুট করবে।এরপর দেখতে চাইবে আপনার ডকুমেন্টস।এরপর দেখতে চাইবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স।এরপর গাড়ির কাগজ।সবকিছু ঠিক থাকলে এরপর আপনাকে তাৎক্ষনিক একটা টেস্ট দিতে হবে যে আপনি মদ পান করেছেন কি না।

দেখুন পুলিশ যখন কন্ট্রোল করে তখন কিভাবে করে।ফাসানোর কোন উপায় নেই।

এখানে দেখুন মিউনিসিপ্যাল পুলিশ কি ভাবে ছোট্ট মেশীনের মাধ্যমে চালক মদ সেবন করেছে কি না তা তাৎক্ষনিক ভাবে পরীক্ষা করছে স্বয়ংক্রিয় মেশীনের সাহায্যে।
এবার আপনিই বলুন এত কড়াকড়ির মধ্যে কে আইন অমান্য করতে চায়?যখন কোন ব্যক্তি নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স পায় তখন তার থাকে ২০ পয়েন্টস।এই ২০ পয়েন্টেসের মধ্যে মদ সেবন করে গাড়ি চালালে ১০ পয়েন্টস কাটা যাবে।দ্রুত গতিতে গাড়ি চালালে আরো ৫ পয়েন্টস,পঙ্গুদের জন্য নির্ধারীত জায়গায় গাড়ি পার্কিং করলে ২ পয়েন্টস।এভাবে বিভিন্ন নিষেধ অমান্য করলে আপনার সবগুলো পয়েন্টস কাটা যাবে এবং আপনাকে আবার নতুন করে স্কুল করে নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।সহজ কথা নয়।কে চায় এত ঝামেলায় যেতে?এরক্সেয়ে অনেক সহজ আইন অনুযায়ী গাড়ি চালানো।
এবার আসুন দেখি গতিবেগ নিরুপনের কিছু চিত্র।

উপরের ছবিতে দেখুন পুলিশ কিভাবে টেলিক্যামেরার মাধ্যমে গাড়ির গতিবেগ কন্ট্রোল করছে।আপনি অনেক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে গেলেন কিন্তু তা অত্যাধুনীক টেলিক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে থাকবে আপনার গাড়ির গতি কত ছিলো।পরে পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে আপনার গাড়ির নাম্বার দেখে সময় মত আপনার বাড়িতে চিঠি পাবেন যে অমুক দিন,এতটার সময়,অমুক রাস্তায় আপনার গাড়ির গতিবেগ এত ছিলো যার কারনে আপনাকে এত ইউরো জরিমানা এবং ৫ কিংবা ১০ পয়েন্টস মাইনাস করা হলো।আই্ন কাকে বলে দেখুন।

উপরের ছবিতে দেখুন পুলিশ তার গাড়িতে বসে কিভাবে আপনার গাড়ির গতি নির্ণয় করছে টেলিক্যামেরার মাধ্যমে।ফাসানোর কোন উপায় নেই।হাইওয়েতে গাড়ির গতিবেগ অনেক বেশী থাকে।সেখানে গাড়ি থামিয়ে কিংবা পুলিশ দাঁড়িয়ে গাড়ির গতিবেগ কন্ট্রোল করা সম্বন নয়।সেখেত্রে দেখুন এরা কিভাবে গাড়ির গতিবেগ কন্ট্রোল করছে।

গোল দাগ দেয়া লাল চিহ্নিত স্থানে টেলিক্যামেরা লাগানো আছে।অটোম্যাটিক রেকর্ড হচ্ছে প্রতিটি গাড়ির গতি।আপ্নি মনে মনে ভাবলেন আমি তো সেয়ানা পরেরবার এখান দিয়ে সাইকেলের গতিতে যাবো।কিন্তু ওরা আপনার চেয়েও বেশী চালাক।আজ যেখানে টেলিক্যামেরা দেখলেন কাল ওখানে নাও থাকতে পারে।হয়তো থাকবে ১০ কিলোমিটার আগে কিংবা পরে।্ধরা আপনাকে খেতেই হবে।আর টেলিক্যামেরা তো ২/১ টা না,শত শত আছে।কয়টাকে ফাঁকি দেবেন আপনি?
তাহলে বলুন কোনটা বেশী সহজ?আইন মেনে চলা না কি আইন অমান্য করে চলা? কার বাপের সাধ্যি আছে আইন অমান্য করে চলবে?
ধরাযাক রাস্তায় একটি এক্সিডেন্ট হয়েই গেছে।ফোন পাওয়া মাত্র সেখানে হাজির হবে পুলিশ,ফায়ার ব্রিগেড এবং এ্যাম্বুলেন্স।গন পিটুনীর ভয় নেই আর আপনাকেও বলতে হবে না এক্সিডেন্টের পিছনে কার দোষ,পুলিশই মাপজোক করে বের করে ফেলবে দোষটা কার ছিলো।দোষ যারই থাক গাড়ির ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী উপযুক্ত ক্ষতিপূরন দিতে বাধ্য থাকবে।

এখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তিপক্ষ কি ভাবে ভিকটিমের সেবা যত্ন করছে।এক্ষেত্রে যদি ভিকটিমের জীবনহানীর আশংকা থাকে এবং তাকে দ্রুত বড় কোন হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন পড়েঙ্কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সে নিলে অনেক দেড়ি হয়ে যাবে,সেক্ষেত্রে রয়েছে এয়ার এম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা।যার ব্যায়ভার সরকার বহন করবে।

প্রয়োজনীয় দু'টি বিষয় আজকে শেয়ার করলাম।যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে পরবর্তীতে আরো কিছু দূর্লভ জিনিস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যা আপনাদের কাছে স্বপ্নের মত মনে হবে।যেমন শিক্ষা,প্রশাসন,কাজের নিশ্চয়তা,কাজ চলে গেলে সরকারি নিশ্চয়তা,গাড়ি-বাড়ি কেনা, ইত্যাদি।এটি কোন সফটওয়্যার নিয়ে টিউন নয় যে যা খুশী তাই লিখবো।এখানে যা লিখেছি তা বুঝে শুনে লিখেছি কারন অনেক ইতালি প্রবাসী ভাই এই টিউনটি পড়ছেন।মত বিরোধ থাকতে পারে কিন্তু ১০০% ভুল লেখার কোন অবকাশ নেই।
যদি আপনাদের ইউরোপ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে হয় তবে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আমি আরো লিখবো।মনে রাখবেন ইতালি তথা সমগ্র ইউরোপের আইন প্রায় একই।কাগজে/কলমে সীমান্তরেখা থাকলেও সমগ্র ইউরোপে কিন্তু বাস্তবে কোন সীমান্ত নেই।সমস্ত ইউরোপ মিলিয়েই একটা দেশ।যেমন সমস্ত ইউরোপ মিলিয়েই একক মুদ্রা ইউরো।আর আমরা?কতটুকু পিছিয়ে আছি বুঝতে পারছেন?এখনো আমাদের পার্শ্ববর্তীদেশ সীমানা লংঘনের দায়ে মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে।পাখির কথা বলে ভুল করলাম কারন ইউরোপে পশু কিংবা পাখী হত্যাও (বিনা অনুমতিতে) কঠিনতম অপরাধ।তাহলে আমাদের অবস্থান কি পশু/পাখীর নীচে চলে গেছে?আর কত দিন আমরা ব্রিটিশদের বেঁধে দেয়া আইনে বোকা থাকবো?ব্রিটিশরা প্রায় ৭০ বছর আগে যা বলে গেছে তা আমরা মানবো আর কত দিন?উপমহাদেশের কি নিজস্ব কোন আইন নেই?বোকারা।
পরিশেষে বলতে চাই,আমি বিবর্তনে বিশ্বাস করি কিন্তু উল্টোভাবে।ডারউইন বলেছিলেন পশু থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছিলো কিন্তু আমি বলতে চাই কথাটা ঠিক নয়--মানুষ থেকেই হিংস্র পশুর সৃষ্টি হচ্ছে।মানে মানুষ হয়ে যাচ্ছে পশু।
সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো।ভালো থাকবেন সবাই ||| আল্লাহ হাফেজ |||

তাহলে কি আমাদের সরকার কি করছে??