সবাই চাই পচ্ছন্দের মানুষটার সাথে একটু কাছাকাছি মিশতে...

প্রকৃত ভালোবাসা বর্তমান পৃথিবীতে বিলুপ্তির পথে...
আমরা সবাই শুধু মুখেই বলি যে দূরুত্ব ভালোবাসাকে গভীরতা ও পবিত্রতা দান করে...
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,আমরা সবাই চাই পচ্ছন্দের মানুষটার সাথে একটু কাছাকাছি মিশতে...
সবাই চাই তাকে নিয়ে নির্জন কোনো একটা জায়গায় সময়

কাটাতে...

যেখানে ভালোবাসা একটা পবিত্রতা বহন করছে,সেখানে কি আমরা কেউই এই পবিত্রতা রক্ষা করতে পারছি??

আসলে, বর্তমানে আমরা ভালোবাসায় মনের চাহিদার থেকে শরীরের চাহিদার প্রাধান্য দেই..
আর এটাই বর্তমান সমাজের বাস্তবতা...

বি:দ্র: "উপরক্ত আলোচনার সত্যতায় যদি ভালোবাসার মূল্য এটাই হয়ে থাকে তবে এই ভালোবাসা কতোটা গ্রহণযোগ্য??"- প্রশ্ন রইলো তোমার  বিবেকের কাছে...

মনে মনে হাঁসছিলাম, আর ভাবছিলাম তোমাকে নিয়ে । ভাবছিলাম পেছনে ফেলে আসা দিন গুলোর কথা ................

অনেক দিন পর তোমার পাঠানো কিছু এস,এম,এস পড়ছিলাম ।
ভালোই লাগছিলো মনে মনে হাঁসছিলাম, আর ভাবছিলাম তোমাকে নিয়ে । ভাবছিলাম পেছনে ফেলে আসা দিন গুলোর কথা ।
হঠাৎ যেনো একটা ধূসর
স্মৃতি এসে আমাকে আঘাত করলো । চোঁখের কোণায় কখন এসে পানি জমা হয়ে গিয়ে ছিলো একদম বুঝতে পারলাম না ।
হঠাৎ মোবাইলের স্ক্রিনে পানির ফোঁটা দেখে ভাবলাম হয়তো বৃষ্টির পানি বৃষ্টি পরছে আঁকাশ ভেঙ্গে । কিন্তু , না কিছুক্ষন পরই বুঝতে পারলাম এটা আমাকে দেওয়া তোমার কষ্টের পানি ঝরে পরছে আমার এই দু'চোখ দিয়ে,
আমার এই মনের আঙিণা ভেঙ্গে একদিন তুমি বুঝবে আমার ভালোবাসো । সে দিন তুমি আমায় মিস করবে, বুঝবে কতটুকু ভালোবেসে ছিলাম তোমায় ।
সেদিন হয়তো তুমি আর আমার ভাগ্যের মাঝে থাকবে না থাকবে শুধু আমার চোঁখের পানিতে ।


*** আজ এত বার ফোন করলাম তুললে না। একদিন তুমি আমাকে ফোন করবে তখন আমাকে পাবে না, মনে রেখো।  ***

ছেলেরাও চায়,তাদের বিপদে কোন একজন মেয়ে নরম কন্ঠে বলুক চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে

ছেলেদের নিয়ে মেয়েদের কিছু ভ্রান্ত ধারনার জবাব দিতেই এই লেখা:
[ সবাই শেয়ার করে আপনার
বন্ধুকে পড়ার সুযোগ করে দিন..]
ছেলেরা শুধুই মেয়েদের শরীর ভালোবাসে.??
উত্তরঃ- পৃথিবীর বেশির ভাগ মেয়ের  ধারনা,ছেলেরা শুধুমাত্র মেয়েদের শরীর ভালোবাসে..আচ্ছা কিচ্ছুখনের  জন্য মেনে নিলাম ছেলেরা মেয়েদের  শরীর ভালোবাসে..তাহলে মেয়েদের কাছে আমার প্রশ্ন মেয়েরা কি শরীরের স্বাদ উপভোগ করে না..?? অবশ্যই করে..!! যদি নাই করতো তাহলে যে বয়ফ্রেন্ড রুম ডেট করতে পারে না,তাকে কাপুরুষ বলে অন্য ছেলের কাছে চলে যেত না..!!!তাই আপনাদের ধারনাটা ভুল..! মেয়েরা সচারাচর বলে ছেলেরা মেয়েদের মন বোঝে না.. উত্তরঃ- আচ্ছা মন  বুঝতে আপনারা কি বুঝাতে চান..মেয়েদের মন গিরগিটির মত রং পাল্টায়..মাঝে মাঝে তারা নিজেই বোঝে না কি চায় তাদের মন..তাই এটা সঠিক ভাবে বোঝার ক্ষমতা কোন ছেলের নাই..তারপরও একটা ছেলে মেয়েকে অনেক সার্পোট করে..সব সময়
বুঝতে চেষ্টা করে..বিপদে পাশে দারায়..মেয়েদের মুখ ফুটে কিছু বলতে দেরি হয়,কিন্তু শত কষ্টের পরও ছেলেরা ঔ জিনিসটা করতে চেষ্টা করে..এসব কি মন বোঝার মধ্যে পরে না..? ছেলেরা একটা গার্লফ্রেন্ড থাকতে অন্য মেয়েদের সাথে লুতুপুতু করে..
উত্তরঃ- আপু আপনার বয়ফ্রেন্ড আছে..?
এই প্রশ্নটা করলে অনেক আপুই
উত্তরে বলেন
না আমি সিঙ্গেল..কিন্তু খবর নিয়ে দেখুন সেই আপুই তিনজন ছেলের সাথে লুতুপুতু কথা বলে..কিন্তু একটা ছেলে যা সত্য তাই বলে..কারন তাদের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস আর ভরসা থাকে..আসে পাশে চেয়ে দেখুন তদুপরি মেয়েরাই ছেলেদের বেশি ঠকাচ্ছে..!! একটা ছেলে সত্যি কি চায় শুনবেন আপু.. ঠিক আছে নিচে দেখুন
( একান্তই আমার চিন্তা থেকে লেখা )__
1)- একটা ছেলে চায়,কোন মেয়ে তাকে সত্যিকার ভালোবাসুক..যেই ভালোবাসায় থাকবে না কোন সার্থ..থাকবে না কোন তৃতীয় পক্ষ..!!
2)- অজস্র চুমুর থেকেও একটা ছেলে বেশি গুরুত্ব দেয়,মেয়েটা পাশে বসে তাকে খাওয়াক..আদর করে বলুক এইটা নিচ্ছ
না যে..বা আমার রান্না ভালো হয় নি তাই না..
3)- একটা মেয়ের সাথে রাত কাটানোর চাইতে ছেলেটা বেশি পছন্দ করে মেয়েটা বলুক চল না ছাদে দিয়ে তোমার
কাধে মাথা রেখে সারারাত চন্দ্র দেখি..!!
4)- অতি সাহসি ছেলেরাও চায়,তাদের বিপদে কোন একজন মেয়ে নরম কন্ঠে বলুক ' চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে '
একজন মেয়ে যেমন চায় তার জীবনে এমন কেউ আসুক যে তার স্বপ্নের রাজকুমার হবে,তেমনি একটা ছেলেও চায়.তাই
আপুরা ছেলেদের ভুল না বুঝে তাদের সঠিকভাবে বুঝতে শিখুন..কাজে লাগবে..!! তাই আসুন আমরা ছেলে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া,দন্দ,তর্ক না করে একে অপরে বুঝতে চেষ্টা করি..কারন___আমর া একে অপরের পরিপূরক।
[ বি দ্রঃ সব  ছেলে/মেয়ে এক নয়..।
তাই কেউ কারো নিন্দা করবেন না..নিজের মতামত দিতে পারেন ]

একমেয়েকে দুটি ছেলে পছন্দ করতো।এখন মেয়েটিকে দুজন থেকে একজনকে বেছে নিতেই .......

একমেয়েকে দুটি ছেলে পছন্দ করতো।এখন
মেয়েটিকে দুজন
থেকে একজনকে বেছে নিতেই হবে।
মেয়েটি ১ম ছেলেটিকে বলল,তুমি আমার
জন্য কি কি করতে পারবে?
»»আমি তোমাকে বাড়ি-গাড়ি,টাক

া-
পয়সা সব দিব,তোমার নামে নতুন
একটা ফ্ল্যাট কিনে দিব।বিয়ের পর দুজন
সুইজারল্যান্ডে থাকব,প্রথম গিফট ড়ায়মন্ডের
আংটি।আমি ব্যবসা নিয়ে থাকব,আর

তুমি আরামে দিন কাটাবে।
তোমাকে সবচেয়ে সুখী করব।
প্রয়োজনে তোমাকে স্বর্ণের
পালঙ্কে রাখব।
মেয়েটি বলল,ok ok enough!
এবার সে ২য়
ছেলেটিকে বলল,তুমি কি দিতে পারবে?
»»আমি কি আর দিব তোমাকে দিবার কিছু
নেই,আমার কাছে শুধু ভালবাসাটাই
আছে,যা জমা আছে অনেকদিন ধরে।
আমি হতে পারব শীতের দিনে তোমার
চাদর,আর বৃষ্টির দিনে ছাতা।
যখন তুমি কাঁদবে তখন আমিও
না কেঁদে পারব না। যখন তুমি হাসবে,তখন
আমি নিজেকে পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখী মনে করব।প্রয়োজনে জীবন
দিতে রাজি হব। তুমি যদি খুশি হও
আমাকে ছাড়া,সেজন্য
তোমাকে ছাড়তেও পারি।
মেয়েটি ২য় ছেলের কথায় মুগ্ধ
হয়ে তাকেই জীবন সাথী বেছে নিল। আর
১ম ছেলেটিকে বলল,তোমার মুখ
থেকে ভালবাসা শব্দটিই বের হয়নি। ভাল
লাগা ভালবাসা একনয়।

বান্ধবীর বাজেটের কথা শুনিয়া আমার মনের মইদ্ধে যে বেলুন ফুলিয়াছিলো......

— ওই চল আজ তোকে খাওয়াবো!!
বান্ধবীর মুখে এমন কথা শুনিয়া যারপরনাই খুশি হইয়া উঠিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই দন্ডায়মান হইয়া বলিলাম

— চল!!!!!

—আরে এখন নাকি!! বিকেলে খাওয়াবো। তুই যা ইচ্ছে খেতে পারিস। বাজেট বিশ টাকা।

বান্ধবীর বাজেটের কথা শুনিয়া আমার মনের মইদ্ধে যে বেলুন ফুলিয়াছিলো তাহা উনানব্বই দিন ফ্রিজে রাখা শিংনাথ বেগুনের মত চুপসাইয়া গেলো। তবুও
বান্ধবী খাওয়াবে বলে কথা!!

— চটপটি খাবো!!



— এহ!! বললেই হলো নাকি?? একপ্লেট চটপটির দাম বিশ টাকা। তুই সব
খেয়ে ফেললে আমি কি খাবো????

—মানে কি?? তোর বাজেট দুই জন এর জন্যে বিশ টাকা????

বান্ধবীর আকর্ণ হাসি দেখিয়া বুঝিলাম কথা সত্য। দুই জনের জন্যে তিনি বিশ
টাকা বাজেট করিয়াছেন। তবুও কবি বলিয়াছেন খাবারের ব্যাপারে কখনোই
না বোধক উত্তর না করিতে। কোন কবি বলিয়াছেন তাহা জানি না। তাই আমি রাজি হইয়া গেলুম।

— বল কি খাবি???

— গোল্ড.....

এর আগে একবার ঘাড়ানি খেয়েছিলুম। ঘাড়ের উপরে রদ্দার কথা মনে পড়তেই চুপ হইয়া গেলাম!!

— কি?? কি বললি তুই??? গোল্ড লিফ??? তুই গোল্ড লিফ খাবি???

বুঝিলাম আকাশে বজ্রপাত আজকে মাটিতে নাজিল হবে। তাড়াতাড়ি বলিলাম

— না না!! তা খেতে যাবো কেনো?? ছিহ!!
এইটা কি খাওয়ার জিনিস নাকি?? আমিতো ওই পাচ টাকা দামের একটা গোল্ড কয়েন চকলেট পাওয়া যায় যে সেটাই খেতে চেয়েছিলাম!!!

— ওহ তাই বল!! ঠিক আছে। তোকে একটা চকলেট খাওয়াবো।

— একটা কেনো?? আমার দশ টাকায় দুইটা চকলেট!!!

— তোর টাকা মানে?? আমার টাকায় তোকে খাওয়াচ্ছি!! তুই একটা চকলেট খাবি। আর আমি একটা চিপস খাবো; পনেরো টাকা দাম।

কি আর করা!! রাজি হয়ে গেলাম। বাঙ্গালী ফ্রিতে বিশ খেতেও রাজি; আর
আমিতো চকলেট খাচ্ছি।

— শোন; বিকাল চারটায় অবকাশের সামনে চলে আসবি।

— যথা আজ্ঞে! !!!!

বিকেলে ঠিক ঠাক সময় মতো হাজির হলাম।
মানে চারটা পয়ত্রিশ এ।
এসে দেখি বান্ধবী রেগে টং!!

— তোরকি কান্ড জ্ঞান নেই?? পয়ত্রিশ মিনিট লেট???

বহু মুখসাফাই গেয়ে এই যাত্রা রক্ষা পেলাম।

বান্ধবীকে নিয়ে দোকানী মামার কাছে গেলাম। বান্ধবী তার পার্স ঘেটে বিশ
টাকার একটা নোট বের করে দোকানদারকে দিলো।

— মামা ওই চিপসটা দেন। আর একটা গোল্ড কয়েন চকলেট দেন।

দোকানদার এক মুহুর্ত ভাবলো। ভেবে বললো

— আপা আর তিন টাকা!

— কেনো!!! চিপসের দাম পনেরো আর চকলেট পাচ; বিশ টাকাই তো দিয়েছি!!!

— আপা চিপসের দাম বাড়সে!! আঠারো টাকা!!

বান্ধবী আমার দিকে তাকিয়ে একটা অসহায়
হাসি দিলো। এরপর দোকানদারকে বললো
.
.
.
.
. .
— তাইলে মামা এক কাজ করেন;
আমাকে একটা চিপস দেন আর ওকে দুইটা প্রান মিল্ক ক্যান্ডি দেন!!!!!

মাইরালা রে মাইরালা. তোরা কেও আমারে মাইরালা।

টেস্ট পরীক্ষার মাত্র মাস খানেক আগে যখন মিতু খুব শান্ত ভাবে ধ্রুবকে বললো “এত দিন আমি তোমার সাথে অভিনয় করেছি। আমার আর এই রিলেশন টিলেশন একদম ভালো লাগছে না

টেস্ট পরীক্ষার মাত্র মাস খানেক আগে যখন মিতু খুব শান্ত ভাবে ধ্রুবকে বললো “এত দিন আমি তোমার সাথে অভিনয় করেছি। আমার আর এই রিলেশন টিলেশন একদম ভালো লাগছে না আর। প্লিজ আর ফোন দিও না আমাকে” তখন থেকেই ধ্রুবর চোখের সামনে হারাধন-নাগ-আজমল
-তপন সব তালগোল পাকিয়ে গেলো! এমনিতে খুব একটা খারাপ ছাত্র সে নয় কিন্তু গত দুইটা বছর যে মেয়েটা তার সব ভালোলাগাতে জড়িয়ে ছিলো তার হঠাৎ করে এভয়েড করতে শুরু করাটা আর তারপর এই বোম...
লেখা পড়া চাঙ্গে তুলে দিলো।
বিকেলে খেলার মাঠে ধ্রুব নেই। ধ্রুব নেই ভোরের কোচিং গুলোতে কিংবা কলেজের ক্লাস শেষের আড্ডায়। ধ্রুব কোথায়? ধ্রুব রুমে বসে গেইম খেলে পিসিতে। চোখ মুখ শক্ত করে বারান্দায় বসে বসে কাকপাখি দেখে। জীবনেও সিগারেটের ধারে কাছে যায় নি সে, ইচ্ছা করছে নাকমুখ দিয়ে গলগল করে ধোয়া বের করে ঘর বাড়ি ভরে ফেলে। ফেসবুকে মিতু তাকে ব্লক দিয়েছে- এত দিনের ভালোবাসাময় চ্যাট বক্সে নীল নামটা কালো অক্ষরে দেখে তার মনে হয় চিৎকার করে কাঁদে। প্রচন্ড কষ্ট বুকে নিয়ে সে তার সবচেয়ে ক্লোজ ফ্রেন্ড সাদাতকে নক দেয়

“দোস্ত”

“হুম দোস্ত বল”

“এরকম কেন হলো?”

“তোকে তো বলেছি, আমি নিশিকে দিয়ে খবর লাগিয়েছি। সে মিতুর সাথে কথা বলেছে”

“আমার দোষ কি ছিলো?”

“কিছুই বলে নি। বাট আমি মনে হয় বুঝতে পারছি। মিতু ভয় পেয়েছে”

“কিসের ভয়?”

“তুই মাত্র কলেজে পড়িস। তোদের ফ্যামিলির অবস্থাও ভালো না। ফিউচার কি হবে কেউ জানে না। তাই সে আগেই সরে পড়েছে। মে বি বেটার অপশনের খোঁজে”

“বেটার অপশন? মিতু আমাকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিলো”

“সেটা ফার্স্ট ইয়ারের কথা। মোহ ছিলো। মেয়েরা খুব দ্রুত ম্যাচিউরড হয়ে যায় রে। আর সত্যি বলতে তোকে হয়তো ভালও বাসে নি। মোহ কেটে যাবার পর এতদিন সত্যিই হয়তো অভিনয় করে গেছে!”

“কিন্তু আমি তো বাসতাম। আমি এখন কি করবো? পড়াশুনায় একদম মন দিতে পারছি নারে...টেস্টে কি হবে?”

“দোস্ত তোকে একটা মজার কথা বলি?”
“কি?”

“আমার বড় ভাইটা স্কুল কলেজ লাইফে কোন মেয়ের সাথে কথাও বলতো না। ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাবার পর এখন তাকে দেখে মাথা খারাপ। মাঝে মাঝে আমাকে বলে। যাস্ট ফেসবুকে মেয়েরা যা করে উনার জন্য! রিয়াল লাইফে তো বাদ দিলাম। আসলে নিজে কোথাও দাঁড়ালে তখন আর এসবের অভাবে হয় না”

“সত্যি?”

“হুম। আমিও তো সিঙ্গেল। আগে খারাপ লাগতো। এখন কিছু ভাবি না। কোথাও একটা ভর্তি হই। সব টাইম মত হবে”

“তাহলে আমি এখন কি করবো?”

“কষ্ট হবে, বাট চিন্তা কর এখন রেজাল্ট খারাপ হলে আমছালা সব যাবে। তুই ভালো কোথাও টিকে দেখিয়ে দে। মিতুর কানে পৌছানোর দায়িত্ব আমার। মেয়ে তখন এসে যদি তোকে আবার বাবু বাবু না ডাকে তো আমার নাম সাদাতই না!”
ধ্রুবের ভিতরে কিছু একটা নড়ে চড়ে গেলো। প্রচন্ড একটা ক্রোধ। জিদে তার মাথা গরম হয়ে গেলো। হুম, মিতুকে সে দেখিয়ে দিবে। ফিউচার, না? অকে, ফিউচার সে বিল্ড করবে। সাদাত কে অনেক গুলা থ্যাংকু দিয়ে আইডি ডিএক্টিভ করে সে তপন-হারাধনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। ফাইজলামি নাকি? কিসের বুয়েট কুয়েট সব ভেজে তামাতামা করে দিবে ধ্রুব...ধ্রুবকে
চিনে না...
বছর খানেক পর। বুয়েটের রেজাল্ট দিয়েছে। ধ্রুব বসে আছে উদ্ভাসের বেইলীরোড শাখায়। বরাবরই সব মডেলটেস্টে টপ র‍্যাংকের ছাত্র ধ্রুব কিভাবে দশের বাইরে গেলো সবাই অবাক। তের তম হয়েছে সে বুয়েটে। ধ্রুবর চারপাশে কে কি বলছে তার কানে ঢুকছে না। তার সারা শরীর কাঁপছে। কারণ তার হাতের মোবাইলে একটা ম্যাসেজ, সে জানে এটা মিতুর। নাম্বারটা সে চেনে। কিন্তু সে ম্যাসেজটা খুলে দেখবে না। দেখলেও রিপ্লাই দিবে না। ধ্রুবর প্রতিশোধ পর্ব শেষ হয়েছে। বাসায় গিয়ে সে এখন একটা শান্তির ঘুম দিবে, গত এক বছরে জমিয়ে রাখা সব ঘুম।

প্রিয় মানুষটিকে যখন কেউ খুব বেশী বিরক্ত করবে কল কিংবা মেসেজ দিবে বারবার অপমান তাচ্ছিল্য......

প্রিয় মানুষটিকে যখন কেউ খুব বেশী বিরক্ত করবে কল কিংবা মেসেজ দিবে বারবার অপমান তাচ্ছিল্য করার পরও সে এই কাজ করে যাবে একটু ভালবাসার জন্য একটা মেসেজের রিপ্লে পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকবে তোমার একটু অবহেলায় কাঁদবে তোমার সামান্য কষ্টে কিংবা ব্যাথায় কেঁদে উঠে বলবে খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝি।

আর তুমি একটু চোখের আড়াল হলেই নিজেকে রক্তাক্ত করবে যখন বলবে আমাকে আর মেসেজ কিংবা কল দিবা না যদি দাও ব্লক দেব আর সে শত অনুনয় বিনয় করে বলবে আর কোনদিন ভালবাসার কথা বলবো না প্লিজ আমায় ছেড়ে যেওনা।ভেবোনা তার ভালবাসা ফুড়িয়ে গেছে বরং তোমাকে ছাড়া সে থাকতে পারবেনা মুহুর্তের জন্য মরে যাবে সে তাই এই মিথ্যে অভিনয় টুকু করে।

যখন বারবার একটু ভালবাসার জন্য পাগলামো করে একের পর এক কল মেসেজ দিয়ে যাবে রিপ্লে না পেয়েও অনেক বেশী হ্যাংলা কিংবা নির্লজ্জ হয়ত তোমাকে অনেক বেশী ভালবাসে বলে হৃদয়ের গভীর থেকে মিস করে বলেই সে এমন পাগলামো করে।
খোঁজ নিয়ে দেখো হয়ত সে মানুষটি অন্যকাউকে আন্তরিকভাবে মেসেজের রিপ্লেও দেয়না।বারবার চেষ্টা করেও
তার হৃদয়ের কাছাকাছি যেতে পারেনা অনেকে।যে তোমার একটু হাসি দেখতে একটা মেসেজ পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে সে মানুষটি অন্যকাউকে হয়ত একটুও টাইম দেয়না।

কেউ যদি বলে আমি তোমার অযোগ্য তাই ভালবাসনা তাইতো?
তখন ভেবোনা আসলেই সে তোমার অযোগ্য হয়ত নিরব অভিমান আর বুকে চাপা না পাওয়ার কষ্ট থেকেই সে এমনটি বলে।খোঁজ নিয়ে দেখ হয়ত রাশিরাশি যোগ্যতা তার আছে তোমাকে পাওয়ার মত।

একটি কথা মনে রেখো যারা হ্যাংলা ফার্ল্ট করে তাদের দুই একবার ফিরিয়ে দিলেই অন্যকোন শিকার খুঁজে নেবে আর যারা প্রকৃত প্রেমী তাদের হাজারবার অপমান করলেও একটু ভালবাসার জন্য কড়া নাড়বে।
আবেগপ্রবণ মানুষ গুলো খুব বেশী এক্সাইটেড তাই হয়ত পাগলামো বেশী করে কিন্তু এদের হৃদয়ে জমা থাকে এক আকাশ ভালবাসা হারিয়ে গেলে বুঝবে তোমার জীবনে তার কতটা প্রয়োজন ছিল।